জরুরি পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার জন্য সংসদে একটি বিল এনেছে হাসিনা সরকার। এই বিলে ধর্মঘটের জন্য জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বাংলাদেশের শ্রমিক ও নাগরিক সংগঠনগুলি।
শ্রমিক ইউনিয়ানগুলির বক্তব্য বিলটি পাশ হলে মালিকদের দৌরাত্ম বাড়বে। ধর্মঘট করলে জেল-জরিমানা হবে –বিলে এই ধরনের প্রস্তাব মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে মনে করছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩, বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপন করেন। বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলের কেন আনা হয়েছে তার কারণ হিসাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৫২ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্স) অ্যাক্ট এবং ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স বাতিল নতুন এই আইন করা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, সরকার জনস্বার্থে কোনো জরুরি বা অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে। ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার পরও যদি কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করেন বা জারি রাখেন তাহলে তাঁর ছয় মাসের কারাদণ্ড হবে।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান বিসিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘জরুরি পরিষেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সংগঠন করার বা প্রতিবাদের অধিকার সাংবিধানিক। আইনটি মালিকদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য বা বিরোধীদের ঘায়েল করার জন্য অপব্যবহার করা হতে পারে। সেটি যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
খবর অনলাইনে পডুন: তাপপ্রবাহের চোখ রাঙানি, ৪১ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে কলকাতার গরম