পাকিস্তানের সিন্ধু ও বালুচিস্তান প্রদেশের একটি সীমান্ত শহরের কাছে গভীর খাদে পড়ে গেল তীর্থযাত্রী বহনকারী একটি বাস। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং ৩৮ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীরা বালুচিস্তানের খুজদার জেলার প্রত্যন্ত মুসলিম সুফি মাজার শাহ নুরানির দিকে যাওয়ার পথে বুধবার একটি বাস খাদে পড়ে যায়। যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি করাচি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে যে চালক একটি মোড়ে বাঁক নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছিলেন। যে কারণে বাসটি খাদে পড়ে যায়। যাত্রীরা সবাই সিন্ধুপ্রদেশের থাট্টা শহরের বাসিন্দা।
নকভি আরও বলেন, “বাসটি বুধবার দুপুর ২টোর দিকে থাট্টা ছেড়ে যায় এবং বুধবার রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।”
স্থানীয় এক স্থানীয় পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, নিহত ও আহতদের করাচি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে কয়েকজন একই পরিবারের। খারাপ রাস্তা, নিরাপত্তা সচেতনতার অভাব এবং ট্রাফিক নিয়মের প্রতি চরম অবহেলার কারণে প্রায়শই পাকিস্তানে এ ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে।
গত বছর, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেও একই রকম একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যাতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার পাশাপাশি চালকদের সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে এ ধরনের বড়সড় দুর্ঘটনাগুলি প্রায়শই ঘটে যায়। এর জন্য অনেকেই দায়ী করেন পাকিস্তানের দুর্বল পরিবহণ কাঠামোকেও।
আরও পড়ুন: সায়ন্তিকা ও সজলের বিরুদ্ধে বরানগরে তণ্ময় ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করল সিপিএম