সমুদ্রের বুক চিরে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ! বুধবার নিজেদের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’-এর প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করল চিন। আমেরিকার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, বেজিং নিজের নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে এই যুদ্ধজাহাজ পরীক্ষা করেছে।
বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’
ফুজিয়ানকে চিনের সবচেয়ে উন্নত এবং বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলে রাখা ভালো, ২০২২ সালের জুন মাসে ফুজিয়ান সমুদ্রে নামানো করা হয়েছিল। এখন ঠিক দুই বছর পর অর্থাৎ বুধবার আবারও সেই বিমানবাহী রণতরীর পরীক্ষা চালাচ্ছে চিনা নৌবাহিনী।
মূল বৈশিষ্ট্য
পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির (PLAN) দুটি সক্রিয় ক্যারিয়ার, ৬৬,০০০ টনের শানডং এবং ৬০,০০০ টনের লিয়াওনিংয়ের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে ফুজিয়ান। এর ধারণ ক্ষমতা ৮০,০০০ মেট্রিক টন। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীই ফুজিয়ানের চেয়ে বড় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার পরিচালনা করে।
ফুজিয়ানের মূল বৈশিষ্ট্য হল একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম যা এটিকে শানডং এবং লিয়াওনিংয়ের চেয়ে বড় এবং ভারী বিমান চালু করতে সক্ষম করবে, যা স্কি-জাম্প স্টাইলের লঞ্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে।
কী এর উদ্দেশ্য?
চিনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সাংহাই জিয়াংনান শিপইয়ার্ড থেকে বুধবার সকালে সমুদ্র পরীক্ষার জন্য যাত্রা শুরু করে ফুজিয়ান। নিজস্ব প্রযুক্তিতে সম্পূর্ণ ভাবে পরিকল্পিত এবং দেশীয়ভাবে নির্মিত এই বিমানবাহী রণতরী। চিনের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী গড়ে তোলার জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই যুদ্ধজাহাজটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
কত সময় লাগবে?
এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে এক বছর সময় লাগবে। সমুদ্র পরীক্ষার আগে, চিন ইয়াংজি নদীর মুখের চারপাশে সামুদ্রিক ট্র্যাফিকের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা ৯ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীতে তাদের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে চিন।
চিনের সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টার পর ফুজিয়ানকে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিনের নৌবাহিনীর দ্বারা এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারকে চালু করার আগে সমুদ্র পরীক্ষা হচ্ছে চূড়ান্ত পর্যায়। এই প্রক্রিয়াটি এক বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পডুন: ঘণ্টায় গতিবেগ ২২০০ কিমি, উন্নত র্যাডার… এই মারাত্মক ৯৭টি যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা