আমেরিকার আকাশসীমায় চিনা ‘গুপ্তচর’ বেলুন! বেজিং সেই দাবি অস্বীকার করলেও শনিবার সন্দেহজনক বেলুনটিকে গুলি করে নামাল আমেরিকা। অতলান্তিক মহাসাগরে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কাজও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি চিনের।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের দাবি, আমেরিকার ‘স্পর্শকাতর’ সামরিক কেন্দ্রগুলির উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিনের বেলুন। শনিবার এই ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, চিনা বেলুনটির ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পেন্টাগন দাবি করে, বেলুনের মাধ্যমে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ চালাচ্ছে বেজিং। আমেরিকার সামরিক কার্যকলাপের উপর বেলুনের মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেন্টাগনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানান, বেলুনটির ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ করা হবে।
এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বেজিং। পাশাপাশি তারা এ-ও জানায়, এই ভুল যাতে দ্বিতীয় বার না হয় সেই চেষ্টা করা হবে। এ ব্যাপারে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সামগ্রিক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে তড়িঘড়ি কোনো মন্তব্য করা যাবে না”। তিনি আরও বলেন, “চিন অত্যন্ত দায়িত্বশীল দেশ। আমরা সব সময়েই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলি। কোনো সার্বভৌম দেশের এলাকা বা আকাশসীমা লঙ্ঘনের কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই”।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, “আমাদের অসামরিক চালকবিহীন একটি বিমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাইটার জেটের মাধ্যমে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিন্দনীয়।” এ ছাড়াও বিদেশমন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, “আমরা বারবার আমেরিকাকে জানিয়েছিলাম এটি একটি অসামরিক এয়ারশিপ। পথ ভুলে সেটি মার্কিন আকাশ সীমানায় প্রবেশ করেছে। এটা নিছকই একটি দুর্ঘটনা। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চিন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”
প্রসঙ্গত, বেলুনটিকে প্রথমে উড়তে দেখা গিয়েছিল উত্তর পশ্চিম আমেরিকায়। পেন্টাগন আধিকারিকরা শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি আলাস্কার মার্কিন আকাশসীমায় প্রথম প্রবেশ করে বেলুনটি। কানাডার উপর দিয়ে যাওয়ার আগে এবং তার কয়েকদিন পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসে। পরে দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূলের কাছে বেলুনটিকে গুলি করে নামানো হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ক্যানসার দিবস: সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে পদযাত্রা কলকাতায়