সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার নয়া উপরূপ জেএন.১। আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে হলেও বেড়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞদের দাবি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টকে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। নতুন উপরূপের উপসর্গ কী?
প্রাথমিক ভাবে জেএন ১-এর উপসর্গ সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা-ব্যথা, হাত-পা-গা-ব্যথা। শীতকালে সাধারণ ঠান্ডা লাগা অথবা ইনফ্লুয়েঞ্জারও এই এক উপসর্গ। তাই সাধারণ সর্দিকাশি না কি করোনা ভাইরাসের নতুন উপরূপের সংক্রমণ, সেটা প্রথমেই পৃথক করা সহজ নয়।
সম্প্রতি ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জেএন.১-এর সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত নতুন উপসর্গ শনাক্ত করেছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে উৎকণ্ঠা বা অ্যাংজাইটি এবং ঘুমের সমস্যা। এর আগে, জেএন.১-এর সঙ্গে যুক্ত লক্ষণগুলি বেশিরভাগই উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অর্থাৎ, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং নাক দিয়ে জলে পড়া, ইত্যাদি।
তবে, যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ONS)-এর সাম্প্রতিক তথ্যে দুটি নতুন উপসর্গকে সামনে আনা হয়েছে। যেগুলির মধ্যে একটি হল ঘুমের সমস্যা এবং অন্যটি অ্যাংজাইটি।
ডিসেম্বরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সবচেয়ে সাধারণ কোভিড-১৯ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে সর্দি (৩১.১%), কাশি (২২.৯%), মাথাব্যথা (২০.১%), ক্লান্তি (১৯.৬%), পেশী ব্যথা (১৫.৮%), গলা ব্যথা (১৩.২%) , ঘুমের সমস্যা (১০.৮%), এবং অ্যাংজাইটি (১০.৫%)।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, এক সময় কোভিডের সাধারণ লক্ষণ ছিল স্বাদ এবং গন্ধ হারানো। যা কি না বর্তমানে যুক্তরাজ্যের মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ কোভিডরোগীর মধ্যে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি আদানি গোষ্ঠীর, সেবি-র হাতেই তদন্তভার