সমস্ত দেশের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যেতে চায় ভারত। কিন্তু চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কী কারণে ‘অস্বাভাবিক’? সেটাই খোলসা করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে তাঁর প্রথম সরকারি সফরে সান্তো ডোমিঙ্গোতে পৌঁছেছেন এস জয়শঙ্কর। বেজিংয়ের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তি লঙ্ঘনের কারণেই চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কী কারণে ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাবি করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
ডোমিনিকান রিপাবলিকের কূটনৈতিক স্কুলের কূটনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য এবং তরুণদের উদ্দেশে বক্তৃতা করার সময় তিনি শুক্রবার বলেন, এই অঞ্চল জুড়ে চিনের সংযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার নাটকীয় প্রসার দেখেছে ভারত। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তান অবশ্য আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এর ব্যতিক্রম।
ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া বা জাপান- যে কোনো দেশই হোক না কেন, আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি যে এই সমস্ত সম্পর্ক একতরফা ভাবে যেন না এগোয়। সীমানা বিরোধ এবং বর্তমানে আমাদের সম্পর্কের অস্বাভাবিক প্রকৃতির কারণে চিন কিছুটা আলাদা একটা বিভাগে পড়ে। এটা তাদের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত চুক্তি লঙ্ঘনের ফলাফল”।
তিনি বলেন, সমান্তরাল সময়সীমায় চিন ও ভারতের উত্থানও এর প্রতিযোগিতামূলক দিক ছাড়া অন্য কিছু নয়। শেষ কয়েক বছর ধরে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তি লঙ্ঘন করে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন এবং তার আগ্রাসী আচরণের নিন্দা করে আসছে ভারত। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, ভারত দৃঢ় ভাবে চিনকে জানিয়ে দিয়েছে, বেজিংয়ের তরফ থেকে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ ভিত্তিকে “ক্ষয়” করেছে। সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা বর্তমান চুক্তি অনুসারেই সমাধান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দু’দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে সেনা মৃত্যু হয়। ভারতীয় তরফে কর্নেল-সহ ২০ জন এবং চিনের তরফে ৪৩ জন হতাহত বলে জানা যায়। ভারতের দাবি ছিল, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা না-মানার ফলেই লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। চিনের অবশ্য পাল্টা দাবি ছিল, গোটা ঘটনার পিছনে ভারতের প্ররোচনা ছিল।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে শুরু ঝড়-বৃষ্টির দাপট, রাজ্য জুড়ে একটানা দুর্যোগের পূর্বাভাস