খবরঅনলাইন ডেস্ক: ইরাকে বিয়ের আসরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্তত ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অন্তত ১৫০ জন। ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশের হামদানিয়া জেলায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ইরাকের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ইরাকের নিনেভে প্রদেশের হামদানিয়া এলাকায় একটি বিয়েবাড়িতে আগুন লাগে। রাজধানী বাগদাদ থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই বিয়েবাড়িতে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হঠাৎ আগুন লেগে যায়। উপস্থিত সকলেই আনন্দে মেতে থাকায় প্রথমে আগুন লাগার বিষয়টি খেয়াল করেননি। যতক্ষণে তাদের নজরে আসে, ততক্ষণে গোটা বিয়েবাড়ির চারদিকই আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে।
ইরাকি নিউজ এজেন্সি নিনার পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায়, দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা স্থানীয় সাংবাদিকদের একাধিক ছবিতে বিয়ের হলে পুড়ে যাওয়া অনেক মৃতদেহ নজরে পড়ে।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের তালিকায় বর-কনে উভয়ে রয়েছেন। ঠিক কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিয়েতে ছোড়া আতশবাজি থেকে আগুন লাগতে পারে। বিয়ের জন্য সাজানো সিল্ক কাপড় এবং অন্যান্য সরঞ্জামের কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে কমিউনিটি সেন্টারের একাংশ ধসে পড়ে।
নিনেভেহ প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর হাসান আল-আল্লাক হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘অন্তত ১১৩ জন নিশ্চিতভাবে নিহত হয়েছেন।’ ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই ঘটনায় আহতের সংখ্যাও দেড় শতাধিক। স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স বিভাগ জানিয়েছে, বিয়ের আসরে আতশবাজি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী ৩৪ বছরের ইমাদ ইয়োহানা বলেন, “আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখেই আমরা সবাই বের হয়ে আসার চেষ্টা করি। অনেকে তাতে সফল হলেও অনেকে বের হতে পারেননি। এমনকি অনেকে বের হওয়ার পথে আগুনের কারণে বিয়ের জন্য তৈরি করা কাঠামো ভেঙে পড়লে তার নীচে চাপা পড়েন।”
আরও পড়়ুন: আংশিক মেঘলা আকাশ, ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস