নয়াদিল্লি: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। রবিবার ৭২ জনকে নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের (Yeti Airlines) একটি যাত্রীবাহী বিমান। পোখরা বিমানবন্দরে নামার সময়ই সেটি ভেঙে পড়ে।
জানা গিয়েছে, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওই বিমান নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরা আসছিল। আসার পথে পুরনো বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে তা ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতাউলা। তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি না কেউ বেঁচে আছে কি না।”
পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পুরাতন বিমানবন্দর ও নতুন বিমানবন্দরের মাঝখানে সেতি নদীর তীরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। টেক অফের ২০ মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। রিপাবলিকা পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মোট ৬৮ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন ওই বিমানে।
উদ্ধার অভিযান চলছে। বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সেই বিমান ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিমানটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল।
নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (CAAN)-র তথ্য অনুসারে, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ৯এন-এএনসি-এটিআর-৭২ (9N-ANC ATR-72) বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় আকাশে উড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়। গোটা বিমানটিতে আগুন ধরে গিয়েছে। পাহাড়ের খাদে বিমানটি পড়ে গিয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চেনা মেজাজে ফিরবে শীত, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের