মস্কো: ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা নিয়ে ওয়াশিংটন পুরোপুরি সচেতন ছিল বলে বিস্ফোরক দাবি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের। শুক্রবার তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের নজর এড়িয়ে এটা ঘটানো অসম্ভব। একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন তিনি।
ভারত সফরের সময় ওয়াশিংটনের নাম উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, “এটা স্পষ্ট যে তাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের) চিন্তাবিদদের অজ্ঞাতে কিভের সন্ত্রাসবাদীরা এটা (হামলা) করতে পারত না। আমরা এর যোগ্য জবাব দেব”।
তবে ওই হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ঘটনার পর পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন “আমরা মস্কো বা পুতিনকে আক্রমণ করি না।” একই ভাবে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার সমস্ত অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বলে রাখা ভালো, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যার লক্ষ্যে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাশিয়া। গত বুধবার ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের দু’টি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে রুশ বাহিনী।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “ক্রেমলিনকে লক্ষ্য করে দু’টি মনুষ্যবিহীন ড্রোন উড়ে আসছিল। রাডার ব্যবস্থা ব্যবহার করে সামরিক এবং বিশেষ পরিষেবা বাহিনী সময় মত পদক্ষেপ করে, ডিভাইসগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে।” ক্রেমলিনের দাবি, তারা এই হামলাকে একটি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড হিসাবে বিবেচনা করছে এবং বদলা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ক্রেমলিন আরও জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় পুতিন বা অন্য কেউ আহত হননি, তেমনই ক্রেমলিন ভবনেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, “ক্রেমলিন বিজয় দিবসের (৯ মে) কুচকাওয়াজের আগে এ ধরনের হামলাকে একটি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড এবং প্রেসিডেন্টকে হত্যার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিয়োটির সত্যতা অবশ্য যাচাই করা যায়নি। তবে সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ক্রেমলিনের আকাশে একটি অজানা উড়ন্ত বস্তু। ক্রেমলিনের মূল গম্বুজে সেই বস্তুটি আঘাত করার ঠিক আগে, সেটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। ধ্বংসাবশেষ নীচে পড়ে যেতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! বাংলা কি প্রভাব পড়বে?