মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক ইজরাইল-ইরান সংঘর্ষ আরও এক দফা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইরানের সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইজরাইলের ‘নির্ভুল হামলায়’ চার ইরানি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধের সতর্কবার্তা দিয়েছে তেহরান। এই হামলার পর ইরানকে পাল্টা হামলা না করার কঠোর বার্তা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকার প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরান ইজরাইলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার চিন্তা না করলেই এই সংঘাতের সমাপ্তি ঘটবে।” তিনি আরও জানান যে, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার অবস্থান শক্তিশালী। সেখানে তাদের ঘাঁটিগুলি রক্ষায় মার্কিন সেনা প্রস্তুত রয়েছে।
ইজরাইলি হামলার জবাবে ইরান জানিয়েছে, তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তারা ইজরাইলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে। অপরদিকে, ইজরাইলি বাহিনী ইরানকে এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার জন্য ‘ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইরানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী লেবাননের হেজবোল্লাহ গোষ্ঠী এরই মধ্যে ইজরাইলের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে, ইজরাইলি হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে তাদের আগেই অবহিত করা হয়েছিল। ইরান থেকে সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের জবাব হিসেবেই এই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে ইজরাইল দাবি করেছে।
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হিংসার অবসান চেয়ে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইজরাইলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাতের অবসানের আশা ব্যক্ত করে বলেছেন, “আমার আশা এই হামলার মাধ্যমেই সংঘাতের সমাপ্তি ঘটবে।”
মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইজরাইল এবং ইরানের মধ্যে এমন প্রকাশ্য সংঘাত ও পাল্টা হুমকির ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদেশগুলি লাগাতার উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে। এই দেশগুলির মধ্যে আমেরিকার মিত্রদেশ জর্ডন ও সৌদি আরব আছে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ইরানের পাল্টা পদক্ষেপ নিতে উস্কানি দেয়া বন্ধ করা দরকার, যাতে শান্তি ফিরে আসে।’