কলকাতা: এক দশকেরও আগের ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিম শেয়ার করে গ্রেফতার হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। প্রায় ১১ বছর পর সেই ব্যঙ্গচিত্রকাণ্ডের ফৌজদারি মামলা থেকে নিষ্কৃতি মিলল তাঁর।
২০১২ সালে একটি ব্যঙ্গচিত্রকে কেন্দ্র করে অম্বিকেশকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় পূর্ব যাদবপুর থানায়। যার প্রেক্ষিতে ২০১২-র ১২ এপ্রিল, অম্বিকেশ এবং তাঁর প্রতিবেশীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন আদালত তাঁদের জামিন দেয়। ওই বছরেরই ১৪ সেপ্টেম্বর, আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে ব্যঙ্গচিত্র সংক্রান্ত এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানান অম্বিকেশ। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর নতুন করে আলিপুর আদালতের অ্যাডিশনাল সেশন জাজের এজলাসে আবেদন জানান তিনি।
এক গভীর ষড়যন্ত্র, দাবি অম্বিকেশের
এত দিন পর সেই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিল আলিপুর আদালত। আইনি লড়াইতে অবশেষে জয়ী হলেন তিনি। তাঁর এই জয়কে গণতন্ত্রের জয় বলে উল্লেখ করেছেন অধ্য়াপক। তাঁর দাবি, এক গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
আদালতের রায়ের এই কপি ফেসবুকে পোস্ট করে অধ্যাপক লেখেন, “১১ বছর পরে ব্যঙ্গচিত্রকাণ্ডের ফৌজদারি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলাম। রাজ্য পুলিশ, প্রশাসন, শাসকদল এবং দুষ্কৃতীদের বাধা সত্ত্বেও এই জয়। এটা গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার জয়”।
দীর্ঘ দিন ধরে এই মামলা চলার জন্য রাজ্য সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন অম্বিকেশ। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যাঁরা লড়াই করছেন, এই জয় তাঁদের উৎসাহ দেবে। এত বছর ধরে মামলা ফেলে রাখার কারণ, একটা বার্তা সাধারণ মানুষকে দেওয়া যে, সরকারকে প্রশ্ন করা যাবে না। সমালোচনা করা যাবে না। সেটা যাতে না করে, সে কারণেই গ্রেফতার, পুলিশি হেফাজত’’।
কী পোস্ট শেয়ার করেছিলেন অম্বিকেশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীর ছবি দেওয়া একটি ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করে বেজায় বিপাকে পড়েছিলেন অম্বিকেশ। ওই ব্যঙ্গচিত্রে লেখা ছিল, ‘মুকুল…দুষ্টু লোক ভ্যানিশ!’ সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ফের পারদ পতন, কলকাতায় শীত আর কতদিন