দুধে ভেজাল মেশানোর রিপোর্টে চাঞ্চল্য। একটি মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বলা হয়েছে, দুধ এবং দুগ্ধপণ্যের ভেজাল নিয়ে যদি অবিলম্বে পদক্ষেপ করা না হয়, তা হলে ২০২৫ সালের মধ্যে ৮৭ শতাংশ নাগরিক ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হবে! এই রিপোর্টের জেরে হইচই শুরু হতেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিল মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ মন্ত্রক।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে এমন কোনো সতর্কতা আসেনি। সাধারণের কাছে নিরাপদ এবং ভালো মানের দুধ পৌঁছে দিতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে মন্ত্রক।
ওই মিডিয়া রিপোর্টের উল্লেখ করে মন্ত্রকের বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “দুধে ভেজাল মেশানো নিয়ে একটি ভুয়ো রিপোর্ট পশুপালন এবং দুগ্ধ মন্ত্রকের নজরে এসেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা না কি সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছে, অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে দেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ প্রভাবিত হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৮৭ শতাংশ নাগরিক ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হবে। এ ধরনের মিডিয়া রিপোর্টের কোনো সত্যতা নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (FSSAI)-র সঙ্গে পরামর্শ করে বিষয়টি ইতিমধ্যে বিভাগে যাচাই করা হয়েছে”।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ভারতে হু-র সংশ্লিষ্ট কার্যালয় এফএসএসএআই-কে নিশ্চিত করে বলেছে, ভারত সরকারকে এ ধরনের কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এই ধরনের যে মিথ্যা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার করা হচ্ছে তার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পশুপালন ও দুগ্ধ বিভাগ এবং এফএসএসএআই সারা দেশে ভোক্তাদের কাছে নিরাপদ ও ভালো মানের দুধ সরবরাহে সহায়তা করার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে”।
আরও পড়ুন: কেটে গিয়েছে ১১ বছর! কার্টুনকাণ্ডে অব্যাহতি মিলল অম্বিকেশ মহাপাত্রর