আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা তাদের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আবেদন সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট এই ধর্মঘট বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লির এইমসের চিকিৎসকরা আজ তাদের দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট তাদের আশ্বাস দিয়েছে যে, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ‘কোনও কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার, দিল্লির এইমস হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা তাদের ধর্মঘট তুলে নেন। সুপ্রিম কোর্ট বুধবার চিকিৎসক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিল, “আমাদের বিশ্বাস করুন” এবং কাজে ফিরে আসার অনুরোধ করেছিল। এর পরেই । বৃহন্মমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের চিকিৎসকরাও তাদের ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার উপর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা গ্রহণ করেছে এবং মঙ্গলবার এই বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানিতে আদালত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের ভূমিকা এবং পরবর্তী তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছে। আদালত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে, কারণ এই ধর্মঘট চলতে থাকলে রোগীদের চিকিৎসা প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বৃহস্পতিবার বলেন, “আমরা সমস্ত চিকিৎসকদের কাছে আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি… আমরা তাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য এখানে রয়েছি। আমাদের বিশ্বাস করুন, তাই আমরা বিষয়টি (কলকাতা) হাইকোর্টে ছেড়ে দিইনি।”
ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার আবেদন
সুপ্রিম কোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, চিকিৎসকদের ওপর হিংসা প্রতিরোধ এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ১০ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। এদিকে, সিবিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিক। এছাড়াও, রাজ্য সরকারকে গত সপ্তাহে আরজি কর হাসপাতালে হওয়া ভাঙচুরের বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা তাদের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা চিকিৎসা পরিষেবার ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাসের পরও ধর্মঘট বন্ধ না করার এই সিদ্ধান্ত নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।


