কলকাতা: কৈলাসে ফিরে যাচ্ছেন শিবঘরণী দুর্গা। উৎসব শেষ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে কড়া নিরাপত্তায় প্রতিমা বিসর্জন হল গঙ্গার ঘাটে ঘাটে।
সিঁদুর খেলা। ছবি: রাজীব বসু
সোমবার রাত থেকেই যৌথ ভাবে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পুরসভা, কলকাতা পুলিশ ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। দশমীর দিন সকাল থেকে গঙ্গার ঘাটে শুরু হয়েছে বিসর্জন পর্ব। কলকাতার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে কবে কবে বিসর্জন দেওয়া যাবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিঁদুর খেলা। ছবি: রাজীব বসু
বিসর্জনের সময় ঘাটগুলিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ড্রোন উড়িয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে। গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। দশমীর দিন দুপুর সোয়া ১টা থেকে বন্ধ ছিল চক্ররেল পরিষেবা।
রূপান্তরকারীদের পুজোর বিসর্জন। ছবি: রাজীব বসু
সাধারণত, এ দিন প্রথমে বাড়ির এবং আবাসনের ঠাকুর বিসর্জন। এরপর একে একে বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা বিসর্জনের পালা। শহরে প্রায় ৩৪টি ঘাটে বিসর্জন চলে। বাবুঘাট, জাজেস ঘাট, বাগবাজার ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট-সহ গঙ্গার একাধিক ঘাটে চলবে বিসর্জন। দশমীর দুপুর থেকেই কলকাতার ৩৪টি ঘাটে থাকছে জোরদার পুলিশি ব্যবস্থা। প্রতিমা বিসর্জন হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে পুলিশকর্তারাও ঘাট পরিদর্শন করেছেন। পরিষ্কার রাখা হয়েছে সবকটি ঘাট।
শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিমা বিসর্জন। ছবি: রাজীব বসু
একইসঙ্গে বিসর্জনের জন্য দক্ষিণ শহরতলি ও বেহালা অঞ্চলের মোট ৪০টি পুকুর, সরোবর ও ঝিল শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলিতেও থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা। নিরাপত্তার জন্য কলকাতা, এমনকী হাওড়ার দিকের ঘাটগুলির আশপাশে টহল দিচ্ছে কলকাতার জল পুলিশ। ১৮টি লাইফ সেভিং বোট থাকছে। বিসর্জন চলাকালীন মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে।
আসছে বছর আবার হবে…। ছবি: রাজীব বসু
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পর্ব চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এ দিন বিকেল থেকে ঘাটগুলি ঢাকের আওয়াজে মুখর হয়ে ওঠে। বিষাদের মধ্যেই সকলের মুখে একই কথা, ‘‘আসছে বছর আবার হবে।’’