কলকাতা: তুরস্কের আন্তালিয়ায় আয়োজিত বিশ্ব চেস বক্সিং টুর্নামেন্টে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য বেহালার কিংশুক সাহাকে সংবর্ধনা দিল ‘কমলা শিশু মহল’ (বেহালা চক্র) প্রাথমিক বিদ্যালয়।
‘চেস’ অর্থাৎ দাবা খেলা কী, সবাই জানেন। আবার বক্সিং কী সেটাও সবাই জানেন। কিন্তু চেস বক্সিং কী খেলা? একটা খেলা মাথা ঠান্ডা রাখার, আর অন্য খেলাটা মাথা গরমের খেলা। এই দুইয়ের মিশেল চেস বক্সিং। পাঁচ রাউন্ড খেলার তিন রাউন্ড দাবা, দু’ রাউন্ড বক্সিং। জিততে হলে হয় বক্সিং-এ প্রতিদ্বন্দ্বীকে নক আউট করতে হবে, কিংবা দাবায় চেকমেট।
ভারতে এই মিশেল খেলা শুরু হয় ১২ বছর আগে নিউ আলিপুরের মন্টু দাসের হাত ধরেই। সেই মন্টু দাসের কাছেই এই খেলা শিখেছেন কিংশুক। কিংশুকের কথায়, “আমি মন্টু স্যারের কাছে মার্শাল আর্ট শিখেছি বলে বক্সিং-এ নক আউট করতেই বেশি পছন্দ করি। তবে দাবাতেও নজর রাখতে হয়, যাতে চেকমেট না হই।”
আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব চেস বক্সিং টুর্নামেন্টে ৬০ কেজির কম বিভাগে বিশ্বসেরা হলেন কিংশুক। এর আগে ২০২২-এ গুজরাতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওপেনে ‘কিং অব রিং’ খেতাব পান ১৯ বছরের কিংশুক।
এই কিংশুক সাহা ‘কমলা শিশু মহল’ (বেহালা চক্র) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তাঁর শিক্ষারম্ভ হয় এই স্কুলেই। তাঁর সাফল্যে গর্বিত স্কুল এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিংশুকের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সোমবার তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা জানিয়ে বলা হয়েছে, “জীবনের অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে আজ আপনি ক্রীড়াক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শৈশব থেকেই আপনার অদম্য জেদ ও প্রচেষ্টা আপনাকে আজ ক্রীড়াজগতে সুপরিচিত করেছে যা আগামী প্রজন্মের প্রতিটি শিশুকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে।”
আরও পড়ুন
নোটবন্দিতে কাজের কাজ কিছু হয়েছে কি? চাঞ্চল্যকর দাবি প্রাক্তন সরকারি আমলার