কলকাতা : সাধারণতন্ত্র দিবসে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। মাত্র কয়েকদিন আগে শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই জঙ্গিকে। বৈঠক চলাকালীন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্সের হাতে গ্রেফতার হয় মহম্মদ সাদ্দাম এবং সায়েদ আহমেদ। তাদের জেরা করেই উঠে আসে মহম্মদ রাকিব কুরেশির নাম। জানা যাচ্ছে আইএস জঙ্গিদের মাথা তিনি।
তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে তোলা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। গ্রেফতার হওয়া তিনজনকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্ত চলাকালীন অভিযোগ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল পেনড্রাইভ। উদ্ধার হওয়া পেন ড্রাইভ খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী আধিকারীদের। পেনড্রাইভে মিলেছে এ দেশের শীর্ষ নেতাদের ছবি। তারা কোথায় থাকেন, কি ধরনের নিরাপত্তা রয়েছে নেতাদের। সেই সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে রাখা হয়েছে পেনড্রাইভে।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, দেশের নেতাদের ওপর আইএস জঙ্গি দল ‘লোন উলফ অ্যাটাকের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর সে কারণেই পেনড্রাইভে তারা সংগ্রহ করেছে নেতাদের ছবি এবং তাঁদের সম্পূর্ণ বিবরণ।
সমস্ত দিক মাথা রেখে সাধারণতন্ত্রের আগে গোটা কলকাতা শহরকে নিরাপত্তা চাদরে মুরতে চাইছে লালবাজার। জানা যাচ্ছে রেড রোট এবং তার সংলগ্ন রাস্তাকে মোট ১১ টি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। এক একটি জোনের দায়িত্বে থাকবে এক একজন ডিসি।
শুধু রেড রোডেই মোতায়েন করা হবে দেড় হাজার পুলিশ। গোটা শহর জুড়ে মোতায়েন থাকবে ৪০০০ অতিরিক্ত পুলিশ রেড রোডে থাকছে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল পোস্ট। এছাড়াও অতিরিক্ত নজরদারি রাখতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। থাকছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। নিরাপত্তার খাতিরে থাকছে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলবে কড়া নাকা চেকিং।