পাঁচ দিন আগে ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহার করার পর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ‘গণকনভেনশন’ করলেন পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। সেই কনভেনশনে উঠল ‘থ্রেট কালচার’ প্রসঙ্গ। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার এবং অনিকেত মাহাতো একে একে অভিযোগ করলেন, কীভাবে ‘থ্রেট কালচার’ হাসপাতালের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলেছে।
এদিনই পাল্টা সংগঠন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। ঘটনাচক্রে, ওই সংগঠনের আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ‘বিতর্ক’ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ছবিতে রয়েছেন ‘থ্রেট কালচার’-এর অন্যতম অভিযুক্ত অভীক দেও, যা নিয়ে অনিকেতদের মধ্যে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে।
গণকনভেনশনে বক্তৃতাকালে অনিকেত বলেন, ‘‘কেন এত দিন ধরে তাঁরা পিছিয়ে ছিলেন? আজ কেন তাঁরা সামনে এলেন?’’ এদিন কনভেনশনে আরও অভিযোগ উঠল যে প্রশাসন একপক্ষীয় ভূমিকা নিয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি নির্দিষ্ট এক পক্ষের দিকে ঝুঁকেছেন। কিঞ্জল নন্দ গণকনভেনশনে উপস্থিত সকলের কাছে আহ্বান জানান, “এবার পক্ষ নিতে হবে। থ্রেট কালচারের অভিযুক্তদের গঠিত অ্যাসোসিয়েশনের দিকে না কি ন্যায়ের পক্ষে।”

কনভেনশনে আরও উঠে আসে আরজি করের নির্যাতিতার বিচার দাবি। সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনিকেত। তাঁর দাবি, কলকাতা পুলিশের বক্তব্যের সাথে সিবিআইয়ের চার্জশিটের কোনো পার্থক্য নেই। তাঁর মতে, ‘‘সিবিআইয়ের চার্জশিট যেন কলকাতা পুলিশের কথার কার্বনকপি। আমরা জানতে চাই, কেন এই খুনের ঘটনা ঘটল?’’ উল্লেখ্য, সিবিআই এক ব্যক্তিকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করলেও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মতে, একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, দেবাশিসের বক্তব্য, ‘‘আমরণ অনশন প্রত্যাহার মানেই আন্দোলন শেষ নয়। যতদিন না ন্যায়বিচার আসবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, বরং দিনে দিনে তা আরও তীব্র হবে।’’