মন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দিল্লিতে মোদীর চা-চক্রে তাঁকে জানানো হয়েছে, তিনি মন্ত্রী হতে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার শপথ নেবেন। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন সুকান্ত মজুমদারও। ঘটনাচক্রে এর আগেই তাঁর রাজ্য সভাপতির পদ গিয়েছেন। এই ঘটনাক্রম দেখে প্রশ্ন উঠছে, এই মন্ত্রিত্বপুরস্কার না কি শাস্তি? লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির খারাপ ফলের জন্য কি তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল?
রাজ্যে দলের ফল নিয়ে বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী প্রকাশ্যে এবং গোপনে সরব হয়েছেন। দিলীপ ঘোষ তো ফলে প্রকাশের পর থেকে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সুকান্তকে সরিয়ে দিয়ে মন্ত্রীত্বে টেনে নেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে তবে কি শাস্তিস্বরূপ তাঁকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে মন্ত্রীত্বে টেনে নেওয়া হল?
রবিবার এবিপি আনন্দে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘পুরস্কার বা শাস্তি, কোনওটারই গুরুত্ব নেই। নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হয়েছে। পরম বৈভবশালী যে ভারত তৈরির বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি আমরা, তা এ জীবনে পূর্ণ হওয়ার কথাই নয়। কল প্রজন্মকে লড়াই করতে হবে জানি না। তাই পুরস্কার বা তিরস্কার বলে কিছু নেই।’
তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, রাজ্য সভাপতি নাকি কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী, তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ কী? জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কোনও বিষয় নেই। সবকিছুই সাময়িক। চেয়ার কখনও পার্মানেন্ট হয় না। আমি তো গোড়া থেকেই বলে আসছি, আজ যে চেয়ারে বসছি, সারাজীবন সেই চেয়ারে থাকব না।’
২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে তাঁর ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে, জবাব তিনি বলেন, ‘ রাজ্য অবশ্যই প্রাধান্য পাবে। অবশ্যই নজর থাকবে। দল আমার পিছনে বিনিয়োগ করেছে। সাংসদ ছিলাম। তিন বছর রাজ্য সভাপতির পদ সামলেছি। স্বাভাবিক ভাবে যে পরিচিতি তৈরি হয়েছে, যে জনসমর্থন পেয়েছি, তাকে বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না।’