কলকাতা : যত দিন পেরোচ্ছে ততই জট খুলছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার। অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসছে একের পর এক নয়া নাম। তিনি সন্ধান দিয়েছিলেন রহস্যময়ী নারী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর এবার এই ঘটনায় উঠে এল আরও এক নারীর নাম।
হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার হদিস মিলল সোমা চক্রবর্তীর। জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা এক পার্লারের মালকিন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় রহস্যময়ী এই নারীকে। যদিও হাজিরা এড়িয়ে যাননি তিনি। বরং মুখোমুখি হয়েছিলেন ইডি আধিকারীদের।
জানা যাচ্ছে, সোমা চক্রবর্তী নামক ওই মহিলা এক পার্লারের মালকিন। নিউটাউনে রয়েছে তাঁর পার্লার। কুন্তল ঘোষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্ক্রুটিনি করেই উঠে এসেছে এই মহিলার নাম। অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত দফায় দফায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
তাঁদের মধ্যে কি সম্পর্ক? কেনই বা ওই মহিলাকে টাকা পাঠাতেন কুন্তল? এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও কুন্তল ঘোষের দাবি সোমা চক্রবর্তী বলে কাউকে চেনেন না।
উল্লেখ্য, এদিনই মুখ খোলেন রহস্যময়ী নারী হৈমন্তী মুখোপাধ্যায়। আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি জানান, ‘কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি চিনিই না।’ স্বামী গোপাল দলপতিকে নিয়েও মুখ খুললেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘২০১২-তে আমার আর গোপালের বিয়ে হয়। এখন বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।’ গোপালের নাম তো উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। সেটা জানেন তো? হৈমন্তীর দাবি, ‘আমি সিনেমার জগত নিয়ে থাকি। গোপালবাবুর সঙ্গে যখন থাকতাম, তখনও সিনেমার জগত নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। উনি কাজ করতেন জানতাম। তবে, তাঁর কাজ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। উল্টে আমার কাজ নিয়ে দু’জনেরআলোচনা হত।’