দেহরাদুন: আজ বৃহস্পতিবার। বারো দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তবে যে কোনো মুহূর্তে তাঁদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হবে। তার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে এনডিআরএফ-এর (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) ১৫ জন কর্মীর একটি দল। তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন কমাড্যান্ট।
৮০০ মিমি ব্যাসের পাইপের মধ্য দিয়ে কী ভাবে আটকে থাকা শ্রমিকদের একে একে বের করে আনা হবে, তার মহড়াও দিয়েছেন এনডিআরএফ। ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ওই পাইপ প্রায় পৌঁছে গিয়েছে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছাকাছি।
সিলকিয়ারায় টানেলের ঠিক বাইরে প্রস্তত হয়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। ৪১টা অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত। উত্তরকাশীর চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরসিএস পানোয়ার জানিয়েছেন, প্রতিজনের জন্য ১টি করে অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সঙ্গে থাকবেন একজন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট।
বুধবারই সিলকিয়ারা থেকে ৩০ কিমি দূরে চিনইয়ালিসৌরে কম্যুনিটি হেলথ্ সেন্টারে ৪১ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। টানেল থেকে শ্রমিকদের বের করে আনার সঙ্গে সঙ্গেই পাঠানো হবে ওই হাসপাতালে। আর কোনো শ্রমিকের জরুরি চিকিৎসার দরকার হলে তার প্রয়োজন মেটাতে সুড়ঙ্গের বাইরেও ৮ শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডা. পানোয়ার জানান, কোনো শ্রমিক গুরুতর অসুস্থ থাকলে তাঁকে প্রয়োজনে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। তার জন্য চিনইয়ালিসৌরে ২টি হেলিকপ্টার মজুত রাখা আছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১২ দিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ভেন্টিলেশন না-থাকা জায়গায় এত দিন ধরে আটকে থাকার জন্য শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত থাকার জন্য ভিটামিন ডি-র অভাবজনিত সমস্যাও হতে পারে।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য ১৫ জন ডাক্তারের একটি দল প্রস্তুত হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বিনীতা শাহ বুধবার ঘটনাস্থলে যান। যতদিন না আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে ততদিন যাতে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী ছুটি না নেন, সেই ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করার জন্য তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন