খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের বিখ্যাত ‘কোচিং হাব’ কোটায় ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। এ বার আত্মঘাতী পশ্চিমবঙ্গের একটি ছাত্র। এই নিয়ে এই বছরে রাজস্থানের কোটা শহরে ২৮টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।
আত্মঘাতী ছাত্রের নাম ফরিদ। সে কোটা শহরের ওয়াকফ নগর এলাকায় থাকত। এবং নেফট্ (NEFT) পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিল। নেফট্ হল চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়ার জন্য সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ছাত্রদের প্রস্তুত করতে কোটায় চলছে বহু নামকরা কোচিং প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছেলেমেয়েরা এই সব কোচিং সেন্টারে এসে ভরতি হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদকে গত সন্ধ্যায় তার ঘরে সিলিং থেকে ঝুলতে দেখা যায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ফরিদ যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, সেখানে আরও কিছু ছাত্র ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। তারা জানায়, ফরিদকে তারা বিকেল ৪টের সময় ঘরে শেষ দেখে। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত তাকে ঘর থেকে বেরোতে না দেখে তারা ডাকাডাকি শুরু করে। ফরিদের কাছ থেকে কোনো রকম সাড়া না পেয়ে তারা চিৎকার জুড়ে দেয়। তাদের চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়িওয়ালা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদ এক বছর কোটায় রয়েছে। সে কোনো সুইসাইড নোট রেখে যায়নি। ফরিদের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
‘কোচিং হাব’ কোটায় একের পর এক ছাত্র-আত্মহত্যার ঘটনায় ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু ছাত্রই প্রতিযোগিতার চাপ নিতে পারছে না। ছাত্ররা যাতে চাপ-মুক্ত থাকে তার জন্য রাজ্য সরকার গত বছরের কোচিং সেন্টারগুলির জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল। কিন্তু কোচিং সেন্টারগুলি আদৌ কি সেই গাইডলাইন মেনে চলছে, প্রশ্ন সেটাই।
আরও পড়ুন
ডুয়ার্সের জঙ্গলে হাতির মৃত্যু, মালগাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল মা ও দুই শাবকের