নয়াদিল্লি: বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা অথবা বিনিময় করার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার পরই জল্পনা, তা হলে কি আবার ১ হাজার টাকার নোট ফিরে আসছে?
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনই বাজারে এসেছিল নতুন ২ হাজার টাকার নোট। সাত বছরের মধ্যেই এ বার বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে সেই ‘গোলাপি নোট’!
আচমকা ২ হাজার টাকার নোট সরিয়ে নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা প্রত্যাশিত ছিল। আরবিআই-এর দাবি, যে উদ্দেশ্যে এই ২ হাজার টাকার নোট বাজারে আনা হয়েছিল, তা পূরণ হয়েছে। কারণ বাজারে এখন অন্যান্য কম মূল্যের নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। হ্রাস পেয়েছে ২ হাজার টাকা মূল্যের নোটের পরিমাণ। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বাজারে যে সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট রয়েছে তাঁর মূল্য ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা।
তবে ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের পরে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে ধারণা অনেকের। এমন পরিস্থিতিতে আবারও ১ হাজার টাকার নোট ফিরিয়ে এনে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে। যদিও আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলিকে “অনুমানমূলক” বলে অভিহিত করেছেন।
১ হাজার টাকার নোট পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে আরবিআই গভর্নর বলেন, “এটা অনুমানমূলক। এই মুহূর্তে এমন কোনো প্রস্তাব নেই।”
২ হাজার টাকার নোট বাতিলের অবাক করা সিদ্ধান্তের পর এই প্রথম বার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, তিনি আরও জানান, যে কেউ ২ হাজার টাকার নোট জমা বা পরিবর্তন করতে পারেন। তবে এর জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই।
তাঁর কথায়, এখন ব্যাঙ্কগুলিতে ভিড় করার কোনো কারণ নেই। এর জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাস সময় আছে। এর জন্য দীর্ঘ একটা সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই নোট বদলে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সোমবার বাতিল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?