ত্রিপুরা : রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। প্রার্থী তালিকায় একাধিক চমক গেরুয়া শিবিরের। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন ফুলটাইম আর জায়গা পেলেন ত্রিপুরা বিধানসভার প্রার্থী তালিকায়। শুরু বিতর্ক। জানা যাচ্ছে, নলচর বিধানসভার প্রার্থী করা হয়েছে কিশোর বর্মনকে। তাঁর আয় এবং তার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের একটা বড় অংশ। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখেছিল গেরুয়া শিবির। অথচ মাত্র ৭৭ থমকে গিয়েছিল বিজয় চাকা। আর তারপরেই ত্রিপুরায় ঘাঁটি গাড়েন কিশোর বর্মন। বর্তমানে তিনি ত্রিপুরার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। ভোট প্রচারের শেষ দিন অর্থাৎ শুক্রবার এই বিজেপি নেতার আয় ব্যয় সংক্রান্ত গরমিলের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম। আর তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে আরএসএস ছাত্র শাখার এফিপি থেকে সরাসরি বিজেপিতে যোগদান করেন কিশোর বর্মন। একটা সময় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বশীল তিনি। এই নেতার উপস্থিতিতেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভোট প্রচার সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও সংঘের প্রচারক হিসেবে আনুষ্ঠানিক তকমা পাননি কিশোর বর্মন।
সূত্রের খবর, সাংসারিক বন্ধনহীন এই নেতাদের আক্ষরিক অর্থেই আয় থাকেনা। সঙ্ঘ কিংবা পার্টি সংশ্লিষ্ট নেতার খরচ বহন করে। আর এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, হলফনামায় ২০১৬–১৭ থেকে টানা তিনটি অর্থবর্ষে কিশোর বর্মণের আয় ছিল শূন্য।
২০২০–২১ অর্থবর্ষে শেয়ার–সহ একাধিক বিনিয়োগ মিলিয়ে ৪৭ লাখ টাকা আয় দেখানো হয়েছে তাঁর। এত টাকা আয়ের উৎস কি? দলের অন্দরেই উঠেছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা নির্বাচনের সময় কোটি কোটি টাকা তুলেছে। বাংলা থেকে টাকা নিয়ে ত্রিপুরায় এসে ভোটে প্রার্থী হওয়ার মধ্যে সেটা স্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হবে।’