দেহরাদুন/ সিলকিয়ারা: উত্তরকাশীর সিলকিয়ারা টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের উদ্বিগ্ন সদস্যদের ল্যান্ডলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করিয়ে দিল বিএসএনএল। উদ্বিগ্ন পরিবারগুলির যে সব সদস্য সুড়ঙ্গের বাইরে অপেক্ষা করছেন কিংবা যাঁরা প্রত্যন্ত গ্রামে রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে আটকে থাকা শ্রমিকদের।
যে ছ’ ইঞ্চি ব্যাসযুক্ত লাইফলাইন পাইপের সাহায্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাঠানো হচ্ছে, সেটিকে ব্যবহার করেই রবিবার দু’ প্রান্তের মধ্যে এই ‘সিমলেস’ ল্যান্ডলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে বিএসএনএল।
বিএসএনএল-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাকেশ চৌধুরী বলেন, “টানেল থেকে ঠিক ২০০ মিটার দূরে আমরা একটা অস্থায়ী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছি। সরবরাহ পাইপের মাধ্যমে দু’ প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। ফলে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের সঙ্গে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তা হচ্ছে।”
নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত না করে দু’ প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে কথাবার্তা বলা যায় এমন একটা হ্যান্ডসেট এবং ২০০ মিটার দীর্ঘ কেবল লাইফলাইন পাইপের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যাতে পরিবারের সদস্যরা যাতে আটকে থাকা শ্রমিকদের সংস্পর্শে আসতে পারেন, তার জন্যই এই সমাধান বার করেছে বিএসএনএল।
সুড়ঙ্গের বাইরে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৫০ মিটার দূরে একটা ন্যূনতম ল্যান্ডলাইন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যোগাযোগে কোনো রকম বিঘ্ন ঘটলে তার চটজলদি সমাধানের জন্য বিএসএনএল-এর চব্বিশ ঘণ্টা সুড়ঙ্গের বাইরে মজুত রয়েছে, জানিয়েছেন রাকেশ চৌধুরী।
আটকে থাকা শ্রমিকদের একজন ইন্দ্রজিৎ কুমারের ভাই এ ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, “রবিবার ল্যান্ডলাইনের মাধ্যমে আমি আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।” রবিবারের আগে পর্যন্ত একটি তারের মধ্য দিয়ে দু’ প্রান্তে কথাবার্তা চলছিল। এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) এবং এসডিআরএফ (স্টেটডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) যে ছ’ ইঞ্চি ব্যাসযুক্ত সরবরাহ পাইপ সুড়ঙ্গে ঢুকিয়েছে তার মধ্য দিয়ে তার পাঠিয়ে যোগাযোগ চলছিল।
আটকে থাকার ১৬তম দিন
আজ সোমবার, উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার ১৬তম দিন। মার্কিন অগার মেশিন ধাতব বাধায় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যাওয়ার পর উদ্ধারকাজ আর এগোয়নি। অন্য দিকে টানেলের উপর দিক থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।
আটকে থাকা শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনার জন্য অগার মেশিনের ৯০০ মিমি ব্যাসযুক্ত পাইপ ঢোকানো হচ্ছিল। অগার মেশিন ভেঙে সেই পাইপে আটকে গিয়েছিল। সেই পাইপ পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন যান্ত্রিক ভাবে মাটি কাটার বদলে মানুষই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপের পথ তৈরি করবে। এই কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন