নয়াদিল্লি: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল করল জাতীয় কংগ্রেস। দলের সাংগঠিনক দায়িত্ব সম্পর্কিত একটি প্রেস রিলিজ ইস্যু করা হয়েছে শনিবার। যেখানে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে এআইসিসির ইন-চার্জ পদ থেকে সরানো হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। এমনিতেই বারাণসী কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে নাম ভাসছে প্রিয়ঙ্কার। এরই মধ্যে সেই জল্পনা আরও জোরাল হল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে!
এ দিন দেশের বিভিন্ন রাজ্য়ে দলের তরফে ইনচার্জ বদল করেছে কংগ্রেস। তারই অংশ হিসেবে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সরিয়ে উত্তরপ্রদেশে অবিনাশ পাণ্ডেকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দলের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাড়তি কোনো দায়িত্ব ছাড়াই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন প্রিয়ঙ্কা।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, প্রিয়ঙ্কাকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন বারাণসীতে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে। শোনা যাচ্ছে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে কোনো হেভিওয়েট প্রার্থীকে দাঁড় করাতে পারে। জোটের বিবেচনাধীন তালিকায় রয়েছে প্রিয়ঙ্কা এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নাম। এমন পরিস্থিতিতে, প্রিয়ঙ্কাকে একটি বড়ো দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় বারাণসীতে জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই দেখছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র চতুর্থ বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসী সংসদীয় এলাকায় প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নাম উত্থাপন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটের বৈঠকে মোদীর বিরুদ্ধে জোরদার প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব দেন মমতা। তখনই মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে প্রিয়ঙ্কার নাম। তবে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা কখনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এর আগেও ২০১৯ সালের লোকসভার আগে জল্পনা ছড়িয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। কিন্তু, সেই জল্পনা উড়িয়ে সেবার অজয় রাইকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা থাকলে বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে লড়ুন’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেত্রীর