কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ঘিরে সোমবার তপ্ত হয়ে উঠেছিল অসম। এর পর মঙ্গলবারও ছড়াল উত্তেজনা। মূল রুট দিয়ে শহরে ঢোকার অনুমতি না মেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।
মঙ্গলবার পাঁচ হাজার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা করতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। আর তার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যাত্রাকে শহর থেকে সরে গিয়ে গুয়াহাটি বাইপাস ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিল অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার। যানজট হতে পারে জানিয়ে গুয়াহাটি শহরের মধ্য দিয়ে যাত্রা না করার আবেদন জানায় সরকার। তার জেরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে মিছিল শহরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় পুলিশ।
ঘটনায় প্রকাশ, পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের ধ্বস্তাধস্তিও হয়। একেবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র। ঘটনার পর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা। জানা গিয়েছে, রাহুলের বিরুদ্ধে ভিড়কে উস্কানি দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
অন্য দিকে, প্রথম থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-য় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, যাত্রার উপর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এই ঘটনা নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “এই রুটেই বজরং দল মিছিল করেছে। বিজেপি-র সভাপতি জেপি নড্ডাও এই রাস্তাতেই ব়্যালি করেন। আমরা ব্যারিকেড ভেঙেছি ঠিকই কিন্তু, আইনশঙ্খলা ভঙ্গ করব না। তবে আমাদের দুর্বল ভাববেন না। এটা কংগ্রেস কর্মীদের শক্তি”।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ফের নোটিশ, দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল ইডি