লাইনচ্যুত হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। উল্টে যাওয়া বগির নীচে চাপা পড়েন বহু যাত্রী। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে ঠিক কতজন যাত্রী আহত হয়েছেন বা কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রেলের তরফে আহত যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি (১২৮৪১ আপ) ছাড়ে। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছয় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি। প্রায় সমস্ত কামরাই উল্টে যায়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বালেশ্বর স্টেশনের কাছে ট্রেনটির স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কার-সহ বেশ অনেকগুলি বগি বেলাইন হয়ে যায়। হতাহতের সংখ্যা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জানা যায়, অন্তত পক্ষে ১০০ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০০-র বেশি হতে পারে।
মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির একাধিক কামরা বেলাইন হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেল আধিকারিক-সহ কর্মীরা। হাওড়া, শালিমার, খড়্গপুর, বালেশ্বর স্টেশনে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। হাওড়ার হেল্প লাইন নম্বর হল, ০৩৩ ২৬৩৮ ২২১৭, খড়্গপুর- ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বর- ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমার- ৯৯০৩৩৭০৭৪৬
আপডেট পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২০৭, আহত ৯০০