সময় যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়োসড়ো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্যসচিব পিকে জেনা জানিয়েছেন, একটি যাত্রীবাহী ট্রেন অন্য একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা দেওয়ার কারণেই এই বড়োসড়ো দুর্ঘটনায়। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০৭। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। তবে দিনের আলো ফুটতেই ফের উদ্ধারকাজ শুরু হলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন।
ভয়াবহ ছবি বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে একাধিক ট্রেনে বগি। দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে একাধিক কোচ। তারইমধ্যে চলছে উদ্ধারকাজ। প্রচুর উদ্ধারকারী, রেলের কর্মী ঘটনাস্থলে আছেন। গভীর রাতে ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও।
প্রসঙ্গত, বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি। বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের দুটি বগিও লাইন থেকে ছিটকে যায়।
আরও পড়ুন: ওড়িশায় বড়োসড়ো দুর্ঘটনায় হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা