নয়াদিল্লি: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে আমদানিকারক কয়েকটি দেশে। এর পরই ওষুধের গুণমান যাচাইয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। রফতানি করার জন্য চালান পাওয়ার আগেই এ বার থেকে ভারতীয় সংস্থাকে নিজের কাশির সিরাপ পরীক্ষা করাতে হবে সরকারি ল্যাবরেটরিতে।
সূত্র জানিয়েছে, বিদেশে পাঠানোর চালানের অনুমতি পাওয়ার আগে নির্দিষ্ট সরকারি পরীক্ষাগারে নিজের পণ্যগুলির পরীক্ষা করাতে হবে সংস্থাগুলিকে। এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে আগামী ১ জুন থেকে। সোমবার বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালক (ডিজিএফটি) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, “কাশির সিরাপ রফতানি করার অনুমতি দেওয়ার আগে পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষাগার বিশ্লেষণের শংসাপত্র জারি করবে।”
নির্দিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারী ল্যাবগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন, রিজিওনাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব (আরডিটিএল – চণ্ডীগড়), সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাব (সিডিএল – কলকাতা), সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব (সিডিটিএল – চেন্নাই হায়দরাবাদ, মুম্বই), রিজিওনাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব (আরডিটিএল- গুয়াহাটি) এবং এনএবিএল (ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ) রাজ্য সরকারের স্বীকৃত ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব।
ভারতীয় সংস্থাগুলির রফতানি করা কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে উদ্বেগ উত্থাপিত হওয়ার পরে এই নির্দেশকা এল। এ প্রসঙ্গে এক সরকারি আধিকারিকের মন্তব্য উদ্ধৃত করে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত থেকে রফতানি করা বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের গুণমান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে, কোনো ওষুধ বিদেশে পাঠানোর আগে তার গুণমান যাচাইয়ের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং মাইক্রোনেশিয়ায় এমন ধরনের কাশির সিরাপের নমুনা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, যাতে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি ধরা পড়ে বলে দাবি করা হয়। ভারতে তৈরি ওই কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই সিরাপটির প্রস্তুতকারক পাঞ্জাব-ভিত্তিক কিউপি ফার্মাকেম লিমিটেড, যা বিপণন করে হরিয়ানা-ভিত্তিক ট্রিলিয়াম ফার্মা।
আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে ঝড়বৃষ্টি! কোথাও কোথাও স্থানীয় ভাবে বিপর্যয়ের আশঙ্কা