কলকাতা: বর্ষবরণের আগে ফের ভাবাচ্ছে করোনাভাইরাস। বছর শেষে দেশে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ল। ৩ হাজারের গণ্ডি পার করল।
ভারতে আবারও ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট স্ট্রেন JN.1-এর হদিশ মেলার পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সতর্ক হয়ে গেছে। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারির পর বিভিন্ন রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মতে, শনিবার দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪২০। শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৮৮৭। বৃহস্পতিবার ছিল ২ হাজার ৬৬৯। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন আট জন। এদের মধ্যে, বেলভিউতে ভর্তি রয়েছেন দু’জন। একজন মিডলটন রো ও অপর আক্রান্ত ভবানীপুরের বাসিন্দা। উডল্যান্ডসে ভর্তি রয়েছেন ভবানীপুরের আরেক বাসিন্দাও। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ছ’মাসের এক শিশু। অন্যদিকে, আমরি হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গত ৫ দিনে চার জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি যাদবপুরে। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। এদের মধ্যে কেউ কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা বোঝা যাবে জেনোম সিকোয়েন্সিয়ের রিপোর্ট আসার পরই।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের থেকে ইতিমধ্যেই কোভিড নিয়ে গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। নবান্নেও এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেই চিঠি। এরপরই বুধবার বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বৈঠকে রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতির উপর নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ডা. সৌম্য স্বামীনাথন সাধারণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার এই নতুন উপরূপের দিকে কড়া নজর রাখছে। এখনও পর্যন্ত উদ্বেগের কোনো কারণ ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা থাকলে বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে লড়ুন’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেত্রীর