কলকাতা: ভারতে আবারও ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট স্ট্রেন JN.1-এর হদিশ মেলার পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সতর্ক হয়ে গেছে। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারির পর বিভিন্ন রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মতে, শুক্রবার পর্যন্ত দেশে কোভিড -১৯ আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২ হাজার ৯৯৭। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৪০ জন।
তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ডা. সৌম্য স্বামীনাথন সাধারণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার এই নতুন উপরূপের দিকে কড়া নজর রাখছে। এখনও পর্যন্ত উদ্বেগের কোনো কারণ ধরা পড়েনি।
এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গে আবারও করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ জন কোভিড পজিটিভ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি দু’জন রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্চি পাঁচ জন কোভিড আক্রান্তের মধ্যে রয়েছে বিহারের ৬ মাসের এক শিশুও। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ওই শিশু। বাকি দু’জন কলকাতার দুই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছে কল্যাণীর ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের থেকে ইতিমধ্যেই কোভিড নিয়ে গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। নবান্নেও এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেই চিঠি। এরপরই বুধবার বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বৈঠকে রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতির উপর নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের, ঘোষণা করলেন মমতা