কলকাতা: শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। সোমবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় হয় কি না সেদিকে নজর রাখছে মৌসম ভবন। সবমিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর এবং রাজ্যের অন্যান্য অংশ আগামী দিনে একটি নতুন ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Mocha) মুখোমুখি হতে চলেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
হাওয়া অফিসের মতে, “শনিবার (৬ মে) আনুমানিক দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এর প্রভাবে ৭ মে নাগাদ একই অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপে ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৮ মে। এর পরে, এটি প্রায় উত্তর দিকে, মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
যদিও শুক্রবার মৌসম ভবনের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান যে, এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ছবিটা স্পষ্ট হবে। তাঁর কথায়, “আমরা প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি এবং গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছি। একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হলেই এর গতিপথ এবং তীব্রতা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার চিত্র দেওয়া যাবে।”
আইএমডি-র অনুমান, ৭ তারিখে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রতি ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। এর গতিবেগ ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ৮ তারিখ রাত থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ধীরে ধীরে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উন্নীত হতে পারে। এমনকী ৭০ কিলোমিটারও হতে পারে। ১০ তারিখ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ধীরে ধীরে প্রতি ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। যা ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
একাংশের আবহাওয়াবিদের মতে, দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, হালকা বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। তবে উপকূলীয় জেলাগুলিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া আধিকারিকরা পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের ৭ মে থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, যাঁরা সমুদ্রে আছেন তাঁরাও যেন ৭ মে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: রাজৌরির জঙ্গলে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত ৫ জওয়ান