নয়াদিল্লি: দীপাবলির আগে দিল্লিতে ক্রমশ বেড়ে চলা দূষণ সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দিল্লি-এনসিআরের বেড়ে চলা বায়ু দূষণের কারণে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই শ্বাস নিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বুধবার সকালে দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের স্তর (AQI) ছিল ৪৬০। যেখানে সোমবার দিল্লিতে একিউআই ছিল ৪৫৩। অর্থাৎ, দিল্লি-এনসিআরে দূষণের মাত্রা দ্রুত বেড়ে চলেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় একিউআই পৌঁছেছিল ৪৫৫-য়। বিকেলে সামান্য উন্নতি হয়ে ৪৫২-তে দাঁড়ায়। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (সিপিসিবি) মতে, দিল্লি জুড়ে বায়ুর গুণমান ‘গুরুতর’ বিভাগে রয়েছে। আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৪৫২ এবং আরকে পুরমে ৪৩৩। যেখানে পঞ্জাবি বাগে এটি ছিল ৪৬০ এবং আইটিওতে ৪১৩।
আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লি-এনসিআরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা বায়ু দূষণের উন্নতি করতে পারে। চলতি বছরের অক্টোবরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিল্লির বায়ুর মান ২০২০ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ছিল। ২০২২ সালের অক্টোবরে ১২৯ মিমি এবং ২০২১ সালের অক্টোবর ১২৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সেই জায়গায় এ বছরের অক্টোবরে মাত্র ৫.৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি ভয়ানক থেকে অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) চারশোর উপরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে দিল্লিবাসীর। রবিবারেও বিষাক্ত ধোঁয়াশার একটি শ্বাসরুদ্ধকর আস্তরণ দিল্লিকে আবৃত করে রেখেছে। চিকিৎসকদের মতে, শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে যা ক্রমশ বেড়ে চলা শ্বাসকষ্ট এবং চোখের রোগের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বায়ু দূষণের জেরে রাজধানী দিল্লিতে ঘোষিত হয়েছে ‘এয়ার ইমার্জেন্সি’। ক্রমশ বেড়ে চলা দূষণের মাত্রার প্রেক্ষিতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি শুক্রবার এবং শনিবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি সরকার। সেই সময়সীমাই ফের বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগুলি পুরোপুরি বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মনে করলে তারা অনলাইন ক্লাস চালাতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের এই ১০টি শহরের বাতাস সবচেয়ে বিষাক্ত, শীর্ষ পাঁচে দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই