নয়াদিল্লি: মণিপুর ইস্যুতে সংসদে জমা পড়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। বুধবার লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের দফতরে কংগ্রেস এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি জমা দিয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। তবে স্পিকার এখনও ভোটের তারিখ ঘোষণা করেননি।
গত ২০ জুলাই শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার পর থেকেই সংসদের উভয় কক্ষে ক্রমাগত অচলাবস্থার একটি মূল কারণ এই মণিপুর ইস্যু।
কংগ্রেসের গৌরব গগৈয়ের দাখিল করা অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য সংসদে ৫০ জন সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। যে সংখ্যাটি সহজেই দলের সদস্যদের পাশাপাশি ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A) জোটের অন্যান্য দলের সহযোগিতায় পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধী, ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা, ডিএমকে-র টিআর বালু এবং এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে-সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যরা লোকসভার স্পিকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করার সমর্থন জানান।
আরেকটি পৃথক অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS)। সংসদে তাদের মাত্র নয়জন সদস্য রয়েছে এবং তাই প্রয়োজনীয় সমর্থন সংগ্রহ করতে পারেনি।
বলে রাখা ভালো, ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায়, ক্ষমতাসীন এনডিএ-র বর্তমানে ৩৩১ জন সদস্য রয়েছেন। অন্য দিকে, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ১৪৪ সদস্য রয়েছে। ফলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিরোধী দলগুলোর কাছে অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার মতো সংখ্যা নেই। তবুও তাদের যুক্তি, মণিপুর ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করে তাদের ডাকে অনেকেই সাড়া দেবেন।
প্রসঙ্গত, অনাস্থা প্রস্তাবের আওতায় সরকারের সংখ্য়াগরিষ্ঠতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন বিরোধীরা। যদি তা পাস হয়, সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। লোকসভার স্পিকার এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি করন। সরকারের পদত্যাগের পক্ষে কারা, বিপক্ষে কারা জানতে চান। দাঁড়িয়ে মতামত জানাতে হয়। পক্ষে বা বিপক্ষে, যে পক্ষে বেশি ভোট পড়ে, সেটিই গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: “মনে হয় ‘ইন্ডিয়া’ নামটা পছন্দ হয়েছে”, মোদীর ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, পিএফআই’ মন্তব্যের পাল্টা মমতা