মানুষের জায়গা নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI)। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রায় ৭ হাজার ৮০০ চাকরি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা বিবেচনা করছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (IBM)। সংস্থার সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণ বলেছেন, এআই দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে এমন ভূমিকার জন্য নিয়োগ স্থগিত করা হবে।
ChatGPT এবং এর বিভিন্ন সংস্করণ চালু হওয়ার পর থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভীতি বেড়েছে। ব্লুমবার্গের মতে, আইবিএম সিইও বলেছেন যে এইচআর-এর মতো ব্যাক অফিস কাজকর্মের জন্য নিয়োগের গতি কমানো হবে।
একটি সাক্ষাৎকারে অরবিন্দ কৃষ্ণ আরও বলেছেন, তিনি দেখতে পাচ্ছেন আগামী পাঁচ বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমেশনের মাধ্যমে প্রায় ৩০ শতাংশ কর্মশক্তি প্রতিস্থাপিত হবে।
আইবিএম-এর কর্মশক্তির ৩০ শতাংশের মানে দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার ৮০০ চাকরি বাদ দেওয়া। ই-কাস্টমার সার্ভিস, টেক্সট লেখা এবং কোড তৈরি করার মতো কাজগুলি করার জন্য এআই ব্যবহৃত হবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জাগতিক কাজ যেমন চাকরির জন্য আবেদনপত্র যাচাইকরণও এআই দেখবে এবং সেটা হবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। যাইহোক, মানবসম্পদ উন্নয়ন যেমন মূল্যায়ন কর্মশক্তি গঠন এবং উৎপাদনশীলতার মতো কাজগুলিতে কর্মী নিয়োগ অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে আইবিএম-এ কর্মী সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার। এআই দিয়ে কাজ চালানোর ঘোষণার সঙ্গেই কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণাও করা হয়েছে। আইবিএম প্রায় হাজার পাঁচেক কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এআই-র উত্থানের ফলে অনেকেই শ্রমবাজারে এর গভীর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী তথা কৃত্রিম মেধা তৈরির ‘গডফাদার’ জিওফ্রে হিন্টন অনুশোচনা প্রকাশ করে বলেছেন, এআই-এর নিজস্ব ভাবে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। এমনকি মানুষের বুদ্ধিমত্তাকেও ছাপিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। ফলে বিশ্বব্যাপী ধীরে ধীরে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মীছাঁটাই বাড়তে পারে। চাকরির অভাব দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ২১তম বর্ষপূর্তিতে ‘বৈতালিক’-এর প্রাণবন্ত পরিবেশনা ‘পদ্মাপারের গান’