ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এর প্রধান। রোগের হাত থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিনের পাতে কোন ধরনের খাবার থাকা উচিত, সেসবই তুলে ধরা হয়েছে ওই গাইডলাইনে। একই সঙ্গে আইসিএমআর প্রধানের মন্তব্য, অর্ধেকেরও বেশি রোগের কারণ আমাদের ভুল খাদ্য়াভাস।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ভারতে ৫৭ শতাংশ রোগের কারণ। আইসিএমআর এবং ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন (এনআইএন)-এর রিপোর্ট অনুসারে, খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব, রক্তস্বল্পতা, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বেড়েছে।
‘দিন কি মেরি থালি’ শিরোনামে একটি নির্দেশিকা শেয়ার করা হয়েছে। ন্যূনতম আটটি খাদ্য আইটেম থেকে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সোর্স করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকয়। যার মধ্যে শাকসবজি, ফল, সবুজ শাক, শিকড় ও কন্দ জাতীয় সবজি অবশ্যই খেতে হবে যাতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পায়।
এর পর আসে ডাল, মাংস জাতীয় খাবার, ডিম, শুকনো ফল, তৈলবীজ এবং দুধ বা দই। একটি প্লেটে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত দানাশস্য থাকা উচিত। যেখানে ডাল, ডিম এবং মাংস জাতীয় খাবারের জন্য মোট শক্তির শতাংশ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ হওয়া উচিত।
এ ছাড়া শক্তির ৩০ শতাংশ খাবার চর্বি জাতীয় হওয়া উচিত। যেখানে বাদাম, তৈলবীজ, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য প্রতিদিন মোট শক্তির ৮-১০ শতাংশ হওয়া উচিত। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিনি, লবণ ও চর্বি কমাতে বেশি বেশি ফল ও সবজি খেতে হবে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের যতটা সম্ভব দুধ, ডিম এবং মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইসিএমআর প্রকাশিত পুস্তিকাটিতে, এটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে শস্য প্রতিদিনের মোট শক্তির ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ অবদান রাখে। ডাল, মাংস, হাঁস-মুরগি এবং মাছ একসঙ্গে মোট দৈনিক শক্তি গ্রহণের ৬ থেকে ৯ শতাংশ অবদান রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার পাশাপাশি প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।
আরও পড়ুন: শরীরের এই ৫টি সমস্যা থেকে মুক্তি কীভাবে পাবেন? টমেটোতে মিলতে পারে সমস্যার সমাধান