আজ, শনিবার (২১ অক্টোবর) গগনযান মিশনের (Mission Gaganyaan) প্রথম পরীক্ষামূলক মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ। চন্দ্রযান-৩-এর বিশাল সাফল্যের পর এ বার এই গগনযান মিশনের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। অদূর ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করে ইসরোর তরফে ২০টি বড় পরীক্ষার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে এটিই প্রথম।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ইসরো জানিয়েছিল, “মিশন গগনযান: ফ্লাইট টেস্ট ভেহিকল অ্যাবর্ট মিশন-১ বা টিভি-ডি১ টেস্ট ফ্লাইটটি ২১ অক্টোবর তারিখে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করা হবে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে হবে উৎক্ষেপণ” একইসঙ্গে ক্রু মডিউল (CM)-এর ছবিও শেয়ার করেছে ইসরো। গগনযান মহাকাশচারীদের মহাকাশে নিয়ে যাবে।
এই গগনযান মিশনের একটি অংশ হিসাবে, াজ ক্যাপসুলের কার্যকারিতা এবং জরুরি পরিত্রাণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করবে ইসরো। এই মিশনের সঙ্গেই এই বছরের শেষ নাগাদ তিন জন মহাকাশচারীকে নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
এর আগে, ক্রুদের বেঙ্গালুরুতে মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। সেখানে মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা। প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে সিমুলেশন, শারীরিক সুস্থতা এবং মিশন সম্পর্কিত একাডেমিক কোর্স, ইত্যাদি।
নির্ধারিত পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময়, সিএম চাপমুক্ত থাকবে। এটি ক্রায়োজেনিক, তরল এবং কঠিন ধাপ-সহ একটি দেশীয় এলভিএম-৩ রকেট ব্যবহার করে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। পরীক্ষার একটি অংশ হিসাবে, সিএম-এর বিভিন্ন উপাদানের মূল্যায়ন করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে একটি ক্রু এস্কেপ সিস্টেম (CES)। মানুষের প্রয়োজনীয়তা পূরণের কথা মাথায় রেখে রকেটটিকে পুনরায় কনফিগার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত গগনযান মিশন শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার আগে একাধিকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখছে ইসরো। চূড়ান্ত মিশনে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পাঠানো হবে মহাকাশচারীদের। সেখানে গিয়ে গবেষণার কাজ চালাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ফের সংঘাত! একশো দিনের বকেয়া মেটাতে নতুন শর্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর