নয়াদিল্লি: ফের এক বার ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড -১৯ সংক্রমণ। দীর্ঘ সময় পরে দেশে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি রয়েছে শেষ কয়েক দিন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ না থাকলেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে পুরোমাত্রায়।
করোনা পরিসংখ্যান
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুয়ায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৫৩ জন। শুক্রবার সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১১ হাজারের বেশি। তবে টানা ছয় দিন বাড়ার পর এ দিন নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কছুটা হলেও কমল। কিন্তু এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল সক্রিয় কোভিডরোগী। এখন সারা দেশের মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।
মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা সংক্রমিত ৪ কোটি ৪৩ লক্ষ ২২ হাজার ২১১ জন। বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সপ্তাহ দুয়েক আগেও যেখানে সক্রিয় রোগী ছিল ১০ হাজারের নীচে, সেখানে বর্তমানে সেটাই ৫৩ হাজার ৭২০।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জন কোভিডরোগীর। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৯১ জন। মৃত্যুহার ১.১৯ শতাংশ। প্রচণ্ড গরমে করোনার চোখ রাঙানি যে নতুন করে তীব্র হচ্ছে, তা এই পরিসংখ্যানেই যেন স্পষ্ট। তবে দেশ জুড়ে সুস্থতার হার ৯৮.৭১ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা ও টিকাকরণে জোর দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
বিমানে মাস্ক পরার পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায়বিমান যাত্রীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভিকে সিং রাজ্যসভায় বলেন, বিমান ভ্রমণের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই, তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা ‘আন্তর্জাতিক আগমনের জন্য নির্দেশিকা’ (Guidelines for International Arrivals) কার্যকর রয়েছে। ওই নির্দেশিকাটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি আপডেট করা হয়েছিল। তখনই সেখানে বিমান যাত্রীদের উদ্দেশে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নববর্ষের দিনেও রুদ্ররূপ গরমের, তীব্র দাবদাহ বাংলায়