বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল চিন। এ মুহূর্তে চিনকে পিছনে ফেলেছে ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) মতে, ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। দ্বিতীয় নম্বরে নেমে গেছে চিন। যেখানে জনসংখ্যার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তিন নম্বরে। বিভিন্ন সংস্থার অনুমান, ভারতের জনসংখ্যা প্রায় তিন দশক ধরে দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে।
বুধবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলেছে, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসাবে চিনকে ছাড়িয়ে গেছে। ব্লুমবার্গ রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব জনসংখ্যার পরিসংখ্যানকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষের বেশি। যেখানে চিনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। তবে দুই দেশের জনসংখ্যার সামান্য পার্থক্য রয়েছে মাত্র। উল্লেখযোগ্য ভাবে, গত বছর শীর্ষে ছিল চিনের জনসংখ্যা, এখন যা কমছে। অন্য দিকে, ভারতের জনসংখ্যা বাড়ছে।
ইউএনএফপিএ (UNFPA)-র রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বয়স ০-১৪ বছরের মধ্যে। যেখানে ১০-১৯ বছর বয়সি ১৮ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ ১০-২৪ বছর বয়সি। এ ছাড়া। এ ছাড়া ১৫-৬৪ বছর বয়সি এবং ৭ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। বিভিন্ন সংস্থার অনুমানে দেখানো হয়েছে যে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় তিন দশক ধরে বেড়ে চলেছে। অন্য দিকে, জন্মের হার কমে যাওয়া এবং শ্রমশক্তির বয়স বাড়ার কারণে একটি উন্মুক্ত জনসংখ্যাগত পতনের মুখোমুখি হয়েছে চিন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য অনুসারে, আনুমানিক ৩৪ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে ভারত এবং চিনের পরে তিন নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের মোট ৮০৪.৫ কোটি জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশির অংশীদার ভারত ও চিন।
আফ্রিকাতেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। এটি অনুমান করা হয় যে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশটির জনসংখ্যা ১৪০ থেকে ৩৯০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ কোটিরও বেশি বাসিন্দা রয়েছে আটটি দেশে। যেগুলির বেশিরভাগই ইউরোপে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য ভাবে, গত এক দশকে সেগুলির জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হয়েছে। কতটা একই ভাবে, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা কমেছে জাপানেও।
আরও পড়ুন: সমলিঙ্গ বিবাহ: সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের, রাজ্যগুলিকে পক্ষ করার দাবি