এখনকার দিনে ইন্টারনেট নিঃসন্দেহে আচমকা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক খ্যাতি অর্জনের পথ খোলা রয়েছে নেট দুনিয়ায়। আর সেই সোজা পথ ধরতে গিয়ে অনেকেই ন্যূনতম বোধবুদ্ধিটাও বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে, সোশ্যাল মিডিয়া সমস্ত ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিদের জন্য নিজের প্রতিভা প্রদর্শনের মাধ্যমে এক নিমেষে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠতে সাহায্যও করছে। সে যাইহোক, অনেকেই এটাকে দায়িত্বের সঙ্গে ব্যবহার করে না। এই যেমন সাম্প্রতিক একটি ভিডিও তুলে ধরেছে যে কীভাবে কিছু লোক সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলছেন আর ভিউ পাওয়ার জন্য যেকোনও কাজ করতেও দুবার ভাবছেন না।
সম্প্রতি, হিমাচলপ্রদেশের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর একটি উদ্ভট রিল রেকর্ড করছেন। সেই ভাইরাল ভিডিওটি ইন্টারনেটকে হতবাক করেছে। ক্লিপটিতে দেখানো হয়েছে যে রাস্তার মাঝখানে বেশ কয়েকজন মারামারি করছে এবং একে অপরের চুল ধরে টানাটানি করছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পথচারী লড়াই থামানোর চেষ্টা করছেন। তবে, তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ঘটনাটিকে পটভূমি হিসাবে ব্যবহার করে একটি রিলে পরিণত করার সুযোগ নিচ্ছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে প্রাণখোলা হাসি হাসতেও দেখা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (আগের টুইটার)-এ শেয়ার করা ভিডিওটির ক্যাপশনে নিখিল সাইনি লিখেছেন, “গত ২-৩ বছরে, সিমলা এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য একটি হটস্পট হয়ে উঠেছে। রিল নির্মাতারা এই জায়গাটি দখল করেছে, এবং প্রতিদিন এই ধরনের বাজে ভিডিও তৈরি করা হয়। ইন্টারনেটে ভাইরাল একটি ভিডিও দেখায় যে একটি মেয়ে মারামারি থামানোর পরিবর্তে, রিল তৈরি করছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করার জন্য এবং আমাদের পাবলিক প্লেসকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
ক্লিপটি দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং অনেক ব্যবহারকারী এই কাজটিকে “অসংবেদনশীল এবং অমানবিক” বলে অভিহিত করে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং অমানবিক। দুঃখজনক। দুর্ভাগ্যবশত, আইনে এই ধরনের লোকদের কিছুই করা যায় না।”
আরও পড়ুন: হাওড়া বন্দে ভারতে ভুল করে আমিষ খাবার বৃদ্ধকে, ওয়েটারকে পরপর কষিয়ে থাপ্পড়, ধরা পড়ল ভিডিয়োয়