ক’দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। তবে সেই জল্পনাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিল কংগ্রেস। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কংগ্রেসের দাবি, কমল নাথ দলের একজন সিনিয়র নেতা এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ রাজ্যে পৌঁছালে তিনিও তাতে যোগ দেবেন।
কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং মধ্যপ্রদেশের ইনচার্জ জিতেন্দ্র সিংও দাবি করেছেন, কমল নাথকে নিয়ে সমস্ত জল্পনা ও অপপ্রচারের হোতা বিজেপি। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “কমলনাথ আমাদের একজন প্রবীণ নেতা এবং যে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা চলছে, তা সবই বিজেপি এবং মিডিয়ার একাংশ ছড়াচ্ছে এবং মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের মতে, “আমি রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এবং শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টানা দুই দিন কমল নাথের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর সঙ্গে যাত্রার প্রস্তুতি কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। আমি মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোপাল যাচ্ছি। সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। বৈঠকে যোগ দেবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী যাত্রা পরিচালিত হবে এবং এতে তিনি অন্যতম দায়িত্ব নেবেন।”
মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা জিতেন্দ্র সিং আরও বলেছেন যে কমল নাথ বা তাঁর ছেলে নকুল নাথের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা সবই গুজব। বিজেপির সবচেয়ে বড় কাজ হল মিথ্যা প্রচার করা। কমল নাথ যাত্রার প্রস্তুতিতে অংশ নিচ্ছেন। নকুল নাথও যাত্রায় অংশ নেবেন। মার্চের শুরুতে এই যাত্রা মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করবে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই কমল নাথকে নিয়ে অস্বস্তি কংগ্রেসে। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে দলের হারের জন্য কমলনাথকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অলোক শর্মা। তাঁর দাবি ছিল, “পিছনের দরজা দিয়ে বিজেপি-কে জেতানোয় সাহায্য করেছেন কমলনাথ।” এর পর, চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে উথালপাথাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, জল্পনাকে সত্যি করে কমল নাথ শেষমেশ বিজেপিতে গেলে রাজনৈতিক ক্ষতি তো বটেই, অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে পারে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অন্দরেই এই নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে, কমল নাথকে দলে নিয়ে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক— দুই অস্ত্রেই কংগ্রেসকে ঘায়েল করতে চাইছে বিজেপিও।