বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরেকটি বড়ো ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। বিধানসভা ভোটে লড়ার টিকিট না পেয়ে বিজেপি থেকে পদত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কর্নাটক বিজেপির নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার। গত রবিবার তিনি বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
লিঙ্গায়ত সম্প্রদায় থেকে আসা জগদীশ শেট্টার রবিবার রাতে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। বিজেপি ছাড়ার সময় শেট্টার বলেছিলেন, তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পদত্যাগ করেছেন। শীঘ্রই নিজের আগামী পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন এবং বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর আগে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সিএম লক্ষ্মণ সাভাদিও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সাভাদির মতো কংগ্রেসও শেট্টারকে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ভোট আগামী ১০ মে। ফলপ্রকাশ ১৩ তারিখ। কংগ্রেস অধিকাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এখনও হুবলি-ধারওয়ার-সহ মোট ১২টি আসনের বিজেপি প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেনি। এরই মধ্যে দল ছাড়লেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, দল টিকিট না দেওয়ায় তিনি যে পিছু হঠবেন না। তাঁকে টিকিট না দিলে ২০ থেকে ২৫টি আসনে হারতে হবে বিজেপি-কে।
রবিবার গভীর রাতে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শেট্টার। একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে হুবলি থেকে বেঙ্গালুরুতে উড়ে আসেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, দলের কর্নাটক প্রধান ডিকে শিবকুমার এবং প্রবীণ নেতা সিদ্দারাইমার সঙ্গে বৈঠক করেন। টিকিট তো পাননি, তার উপর বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করেছেন, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শেট্টার।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর শেট্টার বলেন, “আমি বিজেপি থেকে পদত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। কংগ্রেসের আমার সদস্যপদ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ মানুষ। বিজেপি আমাকে প্রতিটা পদ দিয়েছে এবং একজন কর্মী হিসেবে আমি সবসময় বিজেপির উন্নয়নে কাজ করেছি। ভেবেছিলাম প্রবীণ নেতা হওয়ায় টিকিট পাব। কিন্তু, যখন জানলাম টিকিট পাচ্ছি না, আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। আমি পরবর্তীতে কী পদ পাব, সে ব্যাপারেও কেউ আমাকে আশ্বস্ত করেনি”।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে খোলা আকাশের নীচে সরকারি অনুষ্ঠান, মহারাষ্ট্রে মৃত ১১