নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জবাবি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার তাঁর ভাষণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই আদানি ইস্যুতে বিরোধী দলগুলি শোরগোল শুরু করে। বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে মোদী বলেন, “তাঁদের কাছে ছিল কাদা আর আমার কাছে গোলাপ। যাঁর কাছে যা ছিল, তিনি সেটাই ছুড়ছেন। কিন্তু যত কাদা ছুড়বে, ততই পদ্ম ফুটবে”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েক দশকে অনেক বুদ্ধিজীবী রাজ্যসভা থেকে দেশকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দেশকে পথ দেখিয়েছেন। এখানে এ রকম অনেক বন্ধু আছেন। যাঁরা ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক কিছুই অর্জন করেছেন। অনেক বড়ো কাজও করেছেন। অতএব,এখানে যাই ঘটুক না কেন, দেশ তা গুরুত্ব সহকারে শোনে”। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “সংসদে কিছু লোকের আচরণ এবং বক্তৃতা শুধু সংসদকে নয়, দেশকেও হতাশ করতে চলেছে”।
বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন মোদী। এ দিন রাজ্যসভাতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি বলেন, “কংগ্রেস কখনও কোনো বিষয়ের স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবেনি, আমাদের সরকার বিতর্কিত সমস্ত বিষয়ের স্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিচ্ছে। যেমন ধরুণ ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া। আগে কোও গ্রামে একটা টিউবঅয়েল বসিয়েই এক সপ্তাহ উৎসব হত। আমরা সরকারে আসার ৩ কোটি ঘরে কলের জল পৌঁছত। গত ৩-৪ বছরে আমরা ১১ কোটি ঘরে কলের জল পৌঁছে দিয়েছি”।
দীর্ঘ সময়ের কংগ্রেস জমানার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সরকার দেশের ৬০ দশক নষ্ট করেছে। গর্ত খনন করতে গিয়ে তিনি ৬ দশক নষ্ট করেছে। ওই একই সময়ে অনেক ছোট দেশও ভারতের আগে এগিয়ে গিয়েছে। মজার কথা, দেশের মানুষ বারবার প্রত্যাখ্যান করলেও ষড়যন্ত্র থেকে পিছু হঠছে না কংগ্রেস”।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এ দিন রাজ্যসভায় যখন প্রধানমন্ত্রী জবাবি ভাষণ দিচ্ছেন, তখন কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ওয়েলে নেমে এসে স্লোগান তুলেছে, ‘মোদী-আদানি ভাই ভাই, ভাই ভাই।’ এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছাড়া কিছুই নথিভুক্ত করা হবে না কার্যবিবরণীতে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা, ধ্বংসস্তূপে এখনও বহু মানুষ আটকে তুরস্কে