নয়াদিল্লি: শুক্রবার সংসদে পেশ হল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ সংক্রান্ত এথিক্স কমিটির রিপোর্ট। তীব্র হই-হট্টগোল, বিক্ষোভের মাঝেই লোকসভায় পেশ হল রিপোর্ট। বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকার এই রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আগেই মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। তাই নিয়ে সংসদে তুলকালাম বেঁধে যায় এ দিন সকাল থেকেই। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে প্রথমে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। কিন্তু ফের লোকসভা অধিবেশন বসার পরও পরিস্থতি শান্ত হয়নি। তার মধ্য়েই লোকসভায় রিপোর্ট পেশ করে এথিক্স কমিটি। তারপর গণ্ডগোলের জেরে ফের দুপুর ২টো অবধি মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।
প্রসঙ্গত, টাকা ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করা এবং ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে সাংসদ পোর্টালের লগ-ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের লোকসভার এথিক্স কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। তাই কমিটির সুপারিশ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সতেরো-তম লোকসভার সদস্য়পদ বাতিল করা হোক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মহুয়া মৈত্রকে শুধুমাত্র তখনই বহিষ্কার করা যেতে পারে যদি এথিক্স কমিটির রিপোর্টের পক্ষে ভোটাভুটির ফলাফল তাঁর বিরুদ্ধে যায়। তাঁর কাজকে “অত্যন্ত আপত্তিকর, অনৈতিক, জঘন্য এবং অপরাধমূলক” বলে বর্ণনা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
আজ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই লোকসভায় প্রবেশ করেন মহুয়া। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “মা দুর্গা এসেছেন! এখন আমরা দেখব.. যখন ধ্বংস আসে, বিবেক আগে মারা যায়।…ওরা ‘বস্ত্রহরণ’ শুরু করেছে এবং এ বার আপনারা ‘মহাভারতের রণক্ষেত্র’ দেখতে পাবেন।”
নজরুলের পংক্তি উচ্চারণ করে দৃঢ়প্রত্যয়ের সঙ্গে মহুয়া বলেন , “অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।”
আরও পড়ুন: ঋণের মাসিক কিস্তিতে স্বস্তি! হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউপিআই পেমেন্টের সীমা বাড়াল আরবিআই