আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এখন নিট (NEET UG 2024)-এর ফলাফল। বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগে আবারও এই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি উঠেছে। সম্প্রতি পরীক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)-র কর্মকর্তারা এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করছেন, ডাক্তারিতে ভর্তির এই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম হয়নি। কিন্তু ফল বাতিল ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি অব্যাহত রয়েছে। পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদনও দায়ের করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে নিট-২০২৪ ফলাফলে জালিয়াতির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। পিটিশনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল এবং কাউন্সেলিং নিষিদ্ধ করার দাবিও জানানো হয়েছে। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতার অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা আজ, মঙ্গলবার।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, এনটিএ-র গ্রেস মার্ক দেওয়া এবং কিছু ছাত্রকে ‘পিছন থেকে প্রবেশাধিকার’ দেওয়ার কৌশল ঠিক নয়। আবেদনকারীরা মূলত পরীক্ষার সময় বিলম্বের কারণে কিছু পরীক্ষার্থীদের দেওয়া গ্রেস নম্বরকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং ভর্তির জন্য আবারও পরীক্ষা নেওয়া এবং এবারের ফলাফল প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, গ্রেস মার্ক দেওয়ার মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা ছিল। যে কারণে অনেক পরীক্ষার্থী মোট নম্বর ৭২০-র মধ্যে ৭১৮ এবং ৭১৯ নম্বরও পেয়েছে। যা পরিসংখ্যানগত ভাবে আদৌ সম্ভব নয়।
এ ছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে, একটি কেন্দ্রের ৬৭ জন পরীক্ষার্থী কী ভাবে পূর্ণ ৭২০ নম্বর পেলেন? পিটিশনে, তথাকথিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভর্তির জন্য পরিচালিত কাউন্সেলিং বন্ধ রাখার দাবি উত্থাপিত হয়েছে। এমনকী এ বিষয়ে বিশদ তদন্তের জন্য সিট গঠনের দাবিও উঠেছে।
নিট ফলাফল ২০২৪ কেলেঙ্কারি
কিছু পরীক্ষার্থীর সঠিক নম্বর না পাওয়া, ঘোষিত মার্কের অমিল এবং ওএমআর (OMR) শিটের তুলনায় গ্রেস মার্কের ধারণা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, কিছু পরীক্ষার্থী ৭১৮ এবং ৭১৯ নম্বর পেয়েছে। এই নম্বর পাওয়ার পিছনে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। কারণ এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৮০টি প্রশ্ন থাকে। প্রত্যেকটির সঠিক উত্তরের জন্য ৪ (চার) নম্বর পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষার্থী যদি সবকটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেন, তিনি ৭২০ নম্বর পেতে পারেন। একটির জন্য কোনো উত্তর না করলে পেতে পারেন ৭১৬ নম্বর। অর্থাৎ, ৭১৯ অথবা ৭১৮ পাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এক্ষেত্রে যে গ্রেস মার্কেক কথা বলা হচ্ছে, সেই অনুযায়ী কোনো তালিকাও প্রকাশ করা হয়নি।
পাশাপাশি, এমনটাও অভিযোগ উঠেছে, নিট ২০২৪-এর প্রশ্নপত্র অনেক জায়গায় ফাঁস হয়েছে, কিন্তু এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই সময়ে, অনেক পরীক্ষার্থী তাঁদের স্কোরকার্ডে ওএমআর শিটের তুলনায় ভিন্ন নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়াও, নিট ২০২৪-এর ফলাফল নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যেও বিশেষ কোনো কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ! সিবিআই তদন্ত, পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে এনটিএ-কে চিঠি