নয়াদিল্লি: ক্রমশ বেড়ে চলা এইচ৩এন২ (H3N2) ফ্লুর উদ্বেগ। কোভিড সংক্রমণের সামান্য বৃদ্ধি। এমন আবহে প্রাপ্তবয়স্ক কোভিড রোগীদের জন্য চিকিৎসার নির্দেশিকা সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ কোভিড -১৯ জাতীয় টাস্ক ফোর্স।
রবিবার প্রকাশিত সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে, এ ক্ষেত্রে লোপিনাভির-রিটোনাভির, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ), আইভারমেকটিন, মলনুপিরাভির, ফ্যাভিপিরাভির, অ্যাজিথ্রোমাইসিন এবং ডক্সিসাইক্লিনের মতো ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় না।
সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের সন্দেহ না থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্যান্য স্থানীয় সংক্রমণের সঙ্গে কোভিডকে মেশানো উচিত নয়। যাবতীয় সম্ভাবনা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। সিস্টেমিক কর্টিকোস্টেরয়েডগুলি হালকা রোগের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়”।
সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে, প্রত্যেককে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘরের ভিতরে মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া চালিয়ে যেতে হবে। হাইড্রেশন, অ্যান্টি-পাইরেটিকস, অ্যান্টিটিউসিভের মতো ব্যবস্থা এবং তাপমাত্রা এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়াও হয়েছে। তেমন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতে নতুন করে ১০৭১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছে। প্রায় ১২৯ দিন পর এই প্রথম আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার টপকাল। পাশাপাশি তিনটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং কেরলে এক জন করে কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৯১৫।
আরও পড়ুন: দিনভর আকাশ মেঘলা, দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি