ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতারির পর পরই ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। বিজেপি-বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের এক শক্তিশালী শরিক ছিলেন হেমন্ত। তবে, তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, যিনি ইডি-র তদন্তাধীন। তিনি ছাড়াও তালিকায় আরও কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি থেকে কেরলের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও নাম।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র তদন্তাধীন। তদন্তের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি এখনও পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ বার সমন পাঠিয়েছে, কিন্তু তিনি হাজির হননি। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের গুজবও ভেসে উঠেছে একাধিক বার। দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি।
শুক্রবার আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। কিন্তু এ দিনও ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে পঞ্চম বারের জন্য ইডির সমন এড়ালেন কেজরিওয়াল। আপের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের আগে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যেই বার বার সমন পাঠানো হচ্ছে তাঁকে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারই বিজয়নের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের একটি মামলায় ইডি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে তদন্ত চলছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং ওয়াইএসআরসিপি প্রধান ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডিও ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন। ভারতী সিমেন্টের আর্থিককাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত করছে।
কয়েক দিন আগেই তেলঙ্গনায় কংগ্রেস পার্টির সরকার গঠিত হয়েছে। রেবন্ত রেড্ডি প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। অর্থ পাচার মামলায় তিনিও ইডি-র তদন্তাধীন। অর্থ পাচারের তিনটি পৃথক মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধেও ইডি তদন্ত চলছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুদা এবং রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধেও পৃথক মামলায় তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চম্পাই সোরেন