২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি যৌথ কৌশল তৈরি করতে শুক্রবার বৈঠক করল বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পটনার বাড়িতে ১৫টি বিরোধী দলের বৈঠকের পর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পরবর্তী বৈঠক হবে ১০ থেকে ১২ জুলাই শিমলায়।
ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই
বৈঠকটি চলে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “খুব ভালো মিটিং হয়েছে। অনেক দিন পর লালুজি রাজনৈতিক মিটিং করলেন। আমরা একসঙ্গে লড়ছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ছি। আগামী মিটিং শিমলায় হবে। আমাদের বিরোধী বলবেন না। আমরাও দেশপ্রেমী”।
এগিয়ে যাওয়ার শপথ
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘এটা মতাদর্শের লড়াই। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু এই লড়াই লড়তে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। এই প্রক্রিয়াকে এক যোগে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’
একসঙ্গে ভোট লড়ার সহমত
বৈঠকের আয়োজক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বললেন, “রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব, শরদ পওয়ার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মেহবুবা মুফতি, উদ্ধব ঠাকরে, ওমর আবদুল্লা, সীতারাম ইয়েচুরি, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য-সহ সবাই এসেছেন মিটিংয়ে। খুব ভালো মিটিং হয়েছে। একসঙ্গে চলার সম্মতি হয়েছে। আগামী মিটিং কিছু দিন পরেই হবে। একসঙ্গে ভোট লড়ার সহমত হয়েছেন সবাই”।
মতাদর্শের জন্য একজোট
এক মঞ্চে ছিলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাও। মুফতি বলেন, ‘‘যে ভাবে দেশের মানুষ বিশেষত, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে গান্ধীজির ভারত নয় গডসের ভারত হয়ে যাবে।’’ আর ওমরের দাবি, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ১৭টি রাজনৈতিক দল ক্ষমতার জন্য নয়, মতাদর্শের জন্য একজোট হয়েছে।
বৈঠকে যাঁরা ছিলেন
পটনার ওই বৈঠকে এঁরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, আপ প্রধান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার ও তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলে, জেএমএম প্রধান তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, সিপিআইএমএল (লিবাবেশন)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (বালাসাহেব) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, শুরু নতুন জল্পনা