শনিবার মণিপুরে বিরোধী জোটের ১৬টি দলের ২১ জন সংসদ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। দীর্ঘদিন ধরে হিংস কবলিত রাজ্যের পরিস্থিতি মূল্যায়নে বিরোধীদের এই মণিপুর সফর।
কেন মণিপুর সফর
কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “১৬ টি দলের নেতারা ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ এলাকা পরিদর্শন করবেন। দুটি ত্রাণ শিবিরও পরিদর্শন করবেন তাঁরা। কুকি-মেইতেই, উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। পরিস্থিতির মূল্যায়ন করবেন”।
শনি ও রবিবার দুই দিনের মণিপুর সফরে বিরোধী জোটের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দল একাধিক এলাকা ঘুরে দেখে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করবে এবং তারপর সমাধানের জন্য সরকার ও সংসদে সুপারিশ জানাবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেছেন, ” আমরা মণিপুরে যাচ্ছি সত্য খুঁজে বের করতে এবং সেই সত্য সংসদের সামনে তুলে ধরব”। তৃণমূলের সুস্মিতা দেব বলেন, “সরকার ব্যর্থ হয়েছে, তাই আমরা সেখানে গিয়ে দেখতে চাই কী সমাধান পাওয়া যায়।” আরজেডির মনোজ ঝা-র কথায়, “মণিপুরের কথা শোনা দরকার। আমরা মণিপুরের মানুষের কথা শোনার এবং তাঁদের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছি।”
কারা রয়েছেন প্রতিনিধি দলে
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ, ফুলোদেবী নেতাম, কে সুরেশ, তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, আপ থেকে সুশীল গুপ্ত, শিবসেনা (ইউবিটি) থেকে অরবিন্দ সাওয়ন্ত, ডিএমকে থেকে কানিমোঝি করুণানিধি, জেডি (ইউ) নেতা রাজীব রঞ্জন সিং এবং অনিল প্রসাদ হেগড়ে, সন্তোষ কুমার (সিপিআই), এএ রহিম (সিপিআইএম), মনোজ কুমার ঝা (আরজেডি), জাভেদ আলি খান (সমাজবাদী পার্টি), মহুয়া মাজি (জেএমএম), পিপি মহম্মদ ফয়জল (এনসিপি), ইটি মহম্মদ বশীর (আইইউএমএল), এনকে প্রেমচন্দ্রন (আরএসপি), ডি রবিকুমার (ভিসিকে), থিরু থোল থিরুমাবলাভান (ভিসিকে) ) এবং জয়ন্ত সিং (আরএলডি)।
কী বলছে বিজেপি?
বিরোধীদের এই কর্মসূচির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে ফের সরব তারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “এটা শুধুমাত্র অপটিক্স। যখন এই ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A.) মণিপুর থেকে ফিরে আসবে, তখন আমি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তিনি নিজের রাজ্যে (পশ্চিমবঙ্গে) মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সমর্থন করেন কি না”।
আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসার ঘটনায় ৬টি এফআইআর সিবিআই-এর, গ্রেফতার অন্তত ১০