রাজস্থান জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে, যেখানে গত পাঁচ দিনে লু (তীব্র গরম বাতাস) লাগার কারণে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবারে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে যোধপুর জেলায় দুইজন জৈন সাধুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, জয়সলমের জেলার ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে লু লাগার কারণে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) একজন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আলওয়ারে এক ছাত্রের এবং কেকড়ি জেলায় পশু চরাতে গিয়ে একজন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
যোধপুর জেলার পিপাড় শহরে জৈন সাধ্বী দয়া শ্রী তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে তাঁর মৃত্যু হয়। আরেক জৈন সাধু চিরঞ্জয় মুনিরও লু লাগার কারণে মৃত্যু হয়েছে। বিএসএফ জওয়ান অজয় কুমার, যিনি জয়সলমের জেলার বিএসএফ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন, লু লাগার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। অজয় কুমার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। কেকড়ি জেলার নাগোলা গ্রামে ৮০ বছর বয়সী মোহন রাইবারি পশু চরাতে গিয়ে লু লাগার কারণে মারা যান। তার মৃতদেহ একটি গাছের নিচে পাওয়া যায়।
জয়পুরে একটি ফ্যাক্টরিতে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে গিয়ে একজন বয়লার অপারেটরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ফ্যাক্টরি মালিকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে, জয়সলমের জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সোমবার টানা তৃতীয় দিন তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। জয়পুরে তাপমাত্রা ৪৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত ১১ বছরে মে মাসে সর্বোচ্চ।
তীব্র গরমের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা জেলার প্রশাসনিক সচিবদের তাঁদের নির্ধারিত জেলার সফর করে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, জল, বিদ্যুৎ, হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা, গরুর জন্য গোশালায় পর্যাপ্ত জল ও খাদ্য, অন্যান্য পশু-পাখির চিকিৎসা ও খাদ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের গ্রামে রাত্রী যাপন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।